পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আশ্বিনে সবাই গেছে বাড়ি , তাদের সকলের ছুটির পলাতক ধারা মিলেছে আমার একলা ছুটির বিস্তৃত মোহানায় এসে এই রাঙামাটির দীর্ঘ পথপ্রাস্তে । আমার ছুটি ব্যাপ্ত হয়ে গেল দিগন্তপ্রসারী বিরহের জনহীনতায় ; তার তেপাস্তর মাঠে কল্পলোকের রাজপুত্র ছুটিয়েছে পবনবাহন ঘোড়া মরণসাগরের নীলিমায় ঘেরা স্থতিদ্বীপের পথে । সেখানে রাজকন্যা চিরবিরহিণী ছায়াভবনের নিভৃত মন্দিরে । এমনি করে আমার ঠাইবদল হল এই লোক থেকে লোকতীতে । আমার মনের মধ্যে ছুটি নেমেছে যেন পদ্মার উপর শেষ শরতের প্রশাস্তি বাইরে তরঙ্গ গেছে থেমে, গতিবেগ রয়েছে ভিতরে । সাঙ্গ হল দুই তীর নিয়ে ভাঙন-গড়নের উৎসাহ । ছোটো ছোটো আবর্ত চলেছে ঘুরে ঘুরে আনমনা চিত্তপ্রবাহে ভেসে-যাওয়া অসংলগ্ন ভাবনা ৷ সমস্ত আকাশের তারার ছায়াগুলিকে আঁচলে ভরে নেবার অবকাশ তার বক্ষতলে রাত্রের অন্ধকারে । মনে পড়ে অল্প বয়সের ছুটি ; তখন হাওয়া-বদল ঘর থেকে ছাদে ;