পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉○ রবীন্দ্র-রচনাবলী হে উদাসীন পৃথিবী, আমাকে সম্পূর্ণ ভোলবার আগে তোমার নির্মম পদপ্রাস্তে আজি রেখে যাই আমার প্রণতি । শাস্তিনিকেতন ১৬ অক্টোবর ১৯৩৫ চার একদিন আষাঢ়ে নামল বাশবনের মর্মর-ঝরা ডালে জলভারে অভিভূত নীলমেঘের নিবিড় ছায়া । শুরু হল ফসল-খেতের জীবনীরচনা মাঠে মাঠে কচি ধানের চিকন অঙ্কুরে । এমন সে প্রচুর, এমন পরিপূর্ণ, এমন প্রোৎফুল্ল, দ্যুলোকে ভূলোকে বাতাসে আলোকে তার পরিচয় এমন উদার-প্রসারিত— মনে হয় না সময়ের ছোটো বেড়ার মধ্যে তাকে কুলাতে পারে ; তার অপরিমেয় শুণমলতায় আছে যেন অসীমের চির-উৎসাহ, যেমন আছে তরঙ্গ-উল্লোল সমুদ্রে । মাস যায় । শ্রাবণের স্নেহ নামে আঘাতের ছল ক’রে, সবুজ মঞ্জরি এগিয়ে চলে দিনে দিনে শিষগুলি কাধে তুলে নিয়ে অস্তহীন স্পর্ধিত জয়যাত্রায়। তার আত্মাভিমানী যৌবনের প্রগল্ভতার পরে স্বর্ষের আলো বিস্তার করে হাস্তোজ্জল কৌতুক, নিশীথের তারা নিবিষ্ট করে নিস্তন্ধ বিস্ময় ।