পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৪

\')თ ჯ) · রবীন্দ্র-রচনাবলী সন্ধান করার মন তৈরি করা কম কথা নয়। কলেজ-বিভাগের ইকনমিক্স ক্লাসের ছাত্রদের নিয়ে প্রভাত এইরকম চর্চার পত্তন করছেন শুনেছিলুম ; কিন্তু এ কাজটা আরো বেশি সাধারণভাবে করা দরকার, পাঠভবনের ছেলেদেরও এই কাজে দীক্ষিত করা চাই, আর এইসঙ্গে সমস্ত প্রাদেশিক সামগ্রীর মুজিয়ম স্থাপন করা আবশুক । এখানে ছবির মুজিয়মের কাজ কিরকম চলে তার বিবরণ শুনলে নিশ্চয় তোমার ভালো লাগবে। মস্কে শহরে ট্রেটিয়াকভ গ্যালারি (Tretyakov Gallery ) নামে এক বিখ্যাত চিত্রভাণ্ডার অাছে । সেখানে ১৯২৮ থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত এক বছরের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ লোক ছবি দেখতে এসেছে। যত দর্শক আসতে চায় তাদের ধরানো শক্ত হয়ে উঠেছে। সেইজন্যে ছুটির দিনে আগে থাকতে দর্শকদের নাম রেজেস্ট্রি করানো দরকার হয়েছে। ১৯১৭ খৃস্টাব্দে সোভিয়েট-শাসন প্রবর্তিত হবার পূর্বে যে-সব দর্শক এইরকম গ্যালারিতে আসত তারা ধনী মানী জ্ঞানী দলের লোক এবং তারা, যাদের এরা বলে bourgeoisie, অর্থাং পরশ্রমজীবী । এখন আসে অসংখ্য স্বভ্রমজীবীর দল, যথা রাজমিস্কি, লোহার, মুদি, দরজি ইত্যাদি। আর আসে সোভিয়েট সৈনিক, সেনানায়ক, ছাত্র এবং চাষী-সম্প্রদায় । 醉 আর্টের বোধ ক্রমে ক্রমে এদের মনে জাগিয়ে তোলা আবশ্যক। এদের মতে আনাড়িদের পক্ষে চিত্রকলার রহস্য প্রথম দৃষ্টিতে ঠিকমত বোঝা অসাধ্য। দেয়ালে দেয়ালে ছবি দেখে দেখে এরা ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, বুদ্ধি যায় পথ হারিয়ে। এই কারণে প্রায় সব মুজিয়মেই উপযুক্ত পরিচায়ক রেখে দেওয়া হয়েছে। মুজিয়মের শিক্ষাবিভাগে কিম্বা অন্যত্র তদনুরূপ রাষ্ট্রকর্মশালায় যে-সমস্ত বৈজ্ঞানিক কর্মী আছে তাদেরই মধ্যে থেকে পরিচায়ক বাছাই করে নেওয়া হয়। যারা দেখতে আসে তাদের সঙ্গে এদের দেনাপাওনার কোনো কারবার থাকে না । ছবিতে যে বিষয়টা প্রকাশ করছে সেইটে দেখলেই যে ছবি দেখা হয়, দর্শকেরা যাতে সেই ভুল না করে পরিদর্শল্পিতার সেটা জানা চাই। Ա: fSTFIT Foxfz ( composition ), SF Reforz ( colour scheme), SfH অঙ্কন, তার অবকাশ (space ), তার উজ্জলতা ( illumination ), যাতে করে তার বিশেষ সম্প্রদায় ধরা পড়ে সেই তার বিশেষ আঙ্গিক ( technique)— এ-সকল বিষয়ে আজও অল্প লোকেরই জানা আছে। এইজন্তে পরিচায়কের বেশ দস্তুরমত শিক্ষা থাক চাই, তবেই দর্শকদের ঔৎসুক্য ও মনোযোগ সে জাগিয়ে রাখতে পারে। আরএকটি কথা তাকে বুঝতে হবে, মুজিয়মে কেবল একটিমাত্র ছবি নেই, অতএব একটা