পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট \ჭ)Y প্রাণপণ সঞ্চয়ে রচনা করে মরণের অর্ঘ্য ; স্তুতিনিন্দার বাষ্পবুদবুদে ফেনিল হয়ে পাক খায় ওর হালিকান্নার আবর্ত। বক্ষ ভেদ ক’রে ও হাউয়ের আগুন দেয় ছুটিয়ে, শূন্যের কাছ থেকে ফিরে পায় ছাই— দিনে দিনে তাই করে স্ত,পাকার। প্রতিদিন যে প্রভাতে পৃথিবী প্রথম স্বষ্টির অক্লান্ত নির্মল দেববেশে দেয় দেখা, আমি তার উন্মীলিত আলোকের অনুসরণ করে অন্বেষণ করি আপন অন্তরলোক । অসংখ্য দণ্ড পল নিমেষের জটিল মলিন জালে বিজড়িত দেহটাকে সরিয়ে ফেলি মনের থেকে যেখানে সরে যায় অন্ধকার রাতের নানা ব্যর্থ ভাবনার অত্যুক্তি, যায় বিস্তৃত দিনের অনবধানে পুঞ্জিত লেখন যত— সেই-সব নিমন্ত্রণলিপি নীরব যার আহবান, নিঃশেষিত যার প্রত্যুত্তর। তখন মনে পড়ে, সবিতা, তোমার কাছে ঋষিকবির প্রার্থনামন্ত্র, যে মন্ত্রে বলেছিলেন, হে পূষণ, তোমার হিরন্ময় পাত্রে সত্যের মুখ আচ্ছন্ন, উন্মুক্ত করো সেই আবরণ। আমিও প্রতিদিন উদয়গিবলয় থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মিচ্ছটায় প্রসারিত করে দিই আমার জাগরণ ; বলি, হে সবিতা, সরিয়ে দাও আমার এই দেহ, এই আচ্ছাদন— তোমার তেজোময় অঙ্গের সূক্ষ্ম অগ্নিকণায় রচিত যে-আমার দেহের অণুপরমাণু