পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 রবীন্দ্র-রচনাবলী আমার বিস্মিত দৃষ্টির সোনার কাঠির স্পর্শে জাগ্ৰত তোমার আনন্দরূপ তোমার আপন চৈতন্তে । বরানগর ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৩ অকাল ঘুম কবিতাটির একটি পূর্বতন পাঠ পাণ্ডুলিপি হইতে উদ্ভূত করা গেল। ইহার চতুর্থ স্তবকটি কবির স্বহস্তের লেখায় একাধিক খাতাতেই আছে, এবং ঘটনাবিবৃতি অনুসরণ করিবার পক্ষে অনুকূল বলিয়া প্রণিধানযোগ্য— এসেছি অনাহুত, মনে ছিল— কোমরে-অঁাচল-জড়ানো ব্যস্ততায় ওর অসময়ে দেব বাধা | চমক লাগল ঘরের দুয়ারে পা বাড়িয়ে, চোখে পড়ল মেঝের পরে এলিয়ে পড়া অকাল ঘুমের ছবিখানি। দুখানি হাত গালের নীচে জড়ো করে আজ পড়েচে ঘুমিয়ে শিথিল দেহে উৎসবরাত্রির অবসাদে অসমাপ্ত ঘরকন্নার এক ধারে । দূর পাড়ায় বিয়েবাড়িতে বাজচে সানাই সারং স্বরে, প্রথম প্রহর পেরিয়ে গেছে জ্যৈষ্ঠের রৌদ্রে ঝামরে পড়া সকালবেলায় । এই তো কোমরে-অঁাচল-বাধা ব্যস্ততার সময়, এতক্ষণে কর্মস্রোত বইত অঙ্গে অঙ্গে—