পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী মর্তের অমরাবতী র্যার স্বষ্টি মৃত্যুর মূল্যে, দুঃখের দীপ্তিতে। ১ বৈশাখ ১৩৪৩ তেরো হৃদয়ের অসংখ্য অদৃশু পত্রপুট গুচ্ছে গুচ্ছে অঞ্জলি মেলে আছে আমার চার দিকে চিরকাল ধ’রে, আমি-বনস্পতির এরা কিরণপিপাসু পল্লবস্তবক, এর মাধুকরী-ব্রতীর দল । প্রতিদিন আকাশ থেকে এরা ভরে নিয়েছে আলোকের তেজোরস, নিহিত করেছে সেই অলক্ষ্য অপ্রজলিত অগ্নিসঞ্চয় এই জীবনের গৃঢ়তম মজ্জার মধ্যে। সুন্দরের কাছে পেয়েছে অমৃতের কণা ফুলের থেকে, পাখির গানের থেকে, প্রিয়ার স্পশ থেকে, প্রণয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে, আত্মনিবেদনের অশ্রুগদগদ আকুতি থেকে— মাধুর্যের কত স্মৃতরূপ কত বিস্কৃতরূপ দিয়ে গেছে অমৃতের স্বাদ, অামার নাড়ীতে নাড়ীতে । নানা ঘাতে প্রতিঘাতে সংক্ষুব্ধ স্বথদুঃখের ঝোড়ো হাওয়া নাড়া দিয়েছে আমার চিত্তের স্পৰ্শবেদনাবাহিনী পাতায় পাতায় । লেগেছে নিবিড় হর্ষের অনুকম্পন, এসেছে লজ্জার ধিক্কার, ভয়ের সংকোচ, কলঙ্কের গ্লানি, জীবনবহনের প্রতিবাদ । ভালোমন্দের বিচিত্র বিপরীত বেগ দিয়ে গেছে আন্দোলন প্রাণরসপ্রবাহে ।