পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট 8& ষোলো উদভ্ৰান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন স্বষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, র্তার সেই অধৈর্ষে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা, বাধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে। সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি সংগ্রহ করছিলে দুৰ্গমের রহস্ত, চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত, প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে । বিন্দ্রপ করছিলে ভীষণকে বিরূপের ছদ্মবেশে, শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায় তাগুবের দুন্দুভিনিনাদে । হায় ছায়াবৃতা, । কালো ঘোমটার নীচে অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে । এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে নখ যাদের তীক্ষ তোমার নেকড়ের চেয়ে, এল মানুষ-ধরার দল গর্বে যারা অন্ধ তোমার সুর্যহারা অরণ্যের চেয়ে ।