পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ওদের এই মাত্র নিবেদন, যেন বিশ্বজনের কানে পারে f মিথ্যামন্ত্র দিতে, যেন বিষ পারে মিশিয়ে দিতে নিশ্বাসে । সেই আশায় চলেছে ওরা দয়াময় বুদ্ধের মন্দিরে নিতে র্তার প্রসন্ন মুখের আশীৰ্বাদ। বেজে উঠছে তুরী ভেরি গরগর শব্দে, কেঁপে উঠছে পৃথিবী। শান্তিনিকেতন পৌষ ১৩৪৪ আঠারো কথার উপরে কথা চলেছ সাজিয়ে দিনরাতি, এইবার থামো তুমি। বাক্যের মন্দিরচুড়া গাথি যত উর্ধ্বে তোলো তারে তার চেয়ে আরো উর্ধ্বে ধীয় গাথুনির অন্তহীন উন্মত্ততা। থামিতে না চায় রচনার স্পর্ধাতব ; ভুলে গেছ, থামার পূর্ণত রচনার পরিত্রাণ ; ভুলে গেছ নির্বাক দেবতা বেদিতে বসিবে আসি যবে, কথার দেউলথানি কথার অতীত মৌনে লভিবে চরমতম বাণী । মহানিস্তব্ধের লাগি অবকাশ রেখে দিয়ো বাকি, উপকরণের ভূপে রচিয়ে না অভ্ৰভেদী ফাকি অমৃতের স্থান রোধি। নির্মাণ-নেশায় যদি মাত স্বষ্টি হবে গুরুভার, তার মাঝে লীলা রবে না তো । থামিবার দিন এলে থামিতে না যদি থাকে জানা নীড় গেথে গেঁথে পাখি আকাশেতে উড়িবার ডানা ব্যর্থ করি দিবে। থামো তুমি থামো। সন্ধ্যা হয়ে আসে, শাস্তির ইঙ্গিত নামে দিবসের প্রগলভ প্রকাশে। ছায়াহীন আলোকের সভায় দিনের যত কথা আপনারে রিক্ত করি রাত্রির গভীর সার্থকতা