পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী \ףט নীলিমাহীন আকাশে ব্যক্তিত্বহীরা অস্তিত্বের গণিততত্ত্ব নিয়ে । তখন বিরাট বিশ্বভুবনে দূরে দূরান্তে অনন্ত অসংখ্য লোকে লোকাস্তরে এ বাণী ধ্বনিত হবে না কোনোখানেই— ‘তুমি স্বন্দর’, ‘আমি ভালোবাসি’। বিধাতা কি আবার বসবেন সাধনা করতে যুগযুগান্তর ধ’রে। প্রলয়সন্ধ্যায় জপ করবেন— ‘কথা কও, কথা কও', বলবেন বলো, তুমি স্বন্দর’, বলবেন বলো, আমি ভালোবালি’ ? শান্তিনিকেতন ২৯ মে ১৯৩৬ সম্ভাষণ রোজই ডাকি তোমার নাম ধরে, বলি ‘চারু’ । হঠাৎ ইচ্ছা হল আর-কিছু বলি, যাকে বলে সম্ভাষণ, যেমন বলত সত্যযুগের ভালোবাসায় । সব চেয়ে সহজ ডাক— প্রিয়তমে । সেটা আবৃত্তি করেছি মনে মনে, তার উত্তরে মনে-মনেই শুনেছি তোমার উচ্চহাসি । বুঝেছি, মন্দমধুর হাসি এ যুগের নয় ; এ যে নয় অবস্তী, নয় উজ্জয়িনী ।