পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०||७ শু্যামলী ভাটা-পড়া বেলায়, ঘাসের উপরে ছড়িয়ে-পড়া বিকেলের আলোতে গাছেদের নিস্তব্ধ খুশি, মজ্জার মধ্যে লুকোনো খুশি, পাতায় পাতায় ছড়ানো খুশি। আমার প্রাণ নিজেকে বাতাসে মেলে দিয়ে নিচ্ছে বিশ্বপ্রাণের স্পর্শরস চেতনার মধ্যে দিয়ে ছেকে। এখন আমাকে বসে থাকতে দাও, আমি চোখ মেলে থাকি। তোমরা এসেছ তর্ক নিয়ে । আজ দিনাস্তের এই পড়ন্ত রোদুরে সময় পেয়েছি একটুখানি ; এর মধ্যে ভালো নেই, মন্দ নেই, নিন্দ নেই, খ্যাতি নেই। দ্বন্দ্ব নেই, দ্বিধা নেই,— আছে বনের সবুজ, জলের ঝিকিমিকি— জীবনস্রোতের উপর তলে অল্প একটু কাপন, একটু কল্লোল, একটু ঢেউ। আমার এই একটুখানি অবসর ডড়ে চলেছে ক্ষণজীবী পতঙ্গের মতো সূর্যাস্তবেলার আকাশে রঙিন ডানার শেষ খেলা চুকিয়ে দিতে— বৃথা প্রশ্ন কোরো না । বৃথা এনেছ তোমাদের যত দাবি। আমি বসে আছি বর্তমানের পিছন মুখে סף