পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিপিক SSq “সময় অমূল্য ।” “মার তো পারা যায় না” বলে সবাই আক্ষেপ করে, আর ভারি খুশি হয়। “খেটে খেটে হয়রান হলুম” এই নালিশটাই সেখানকার সংগীত। এ বেচারা কোথাও ফাক পায় না, কোথাও খাপ খায় না । রাস্তায় অন্যমনস্ক হয়ে চলে, তাতে ব্যস্ত লোকের পথ আটক করে । চাদরটি পেতে যেখানেই আরাম ক’রে বলতে চায়, শুনতে পায় সেখানেই ফসলের খেত, বীজ পোতা হয়ে গেছে। কেবলই উঠে যেতে হয়, সরে যেতে হয়। \ථ ভারি এক ব্যস্ত মেয়ে স্বর্গের উৎস থেকে রোজ জল নিতে আসে । পথের উপর দিয়ে সে চলে যায় যেন সেতারের দ্রুত তালের গতের মতো । তাড়াতাড়ি সে এলো খোপা বেঁধে নিয়েছে। তবু ছ'চারটে দুরন্তু অলক কপালের উপর ঝুকে পড়ে তার চোখের কালো তারা দেখবে বলে উকি মারছে। স্বগীয় বেকার মাস্থ্যটি এক পাশে দাড়িয়ে ছিল, চঞ্চল ঝরনার ধারে তমালগাছটির মতো স্থির । জানলা থেকে ভিক্ষুককে দেখে রাজকন্যার যেমন দয়া হয়, একে দেখে মেয়েটির cङमनेि लग्न इज । ”আহ, তোমার হাতে বুঝি কাজ নেই ?” নিশ্বাস ছেড়ে বেকার বললে, “কাজ করব তার সময় নেই।” মেয়েটি ওর কথা কিছুই বুঝতে পারলে না। বললে, “আমার হাত থেকে কিছু কাজ নিতে চাও ?” বেকার বললে, “তোমার হাত থেকেই কাজ নেব বলে দাড়িয়ে আছি।” "কী কাজ দেব ।” “তুমি যে ঘড়া কাখে করে জল তুলে নিয়ে যাও তারই একটি যদি আমাকে দিতে পার ।” "ঘড়া নিয়ে কী হবে। জল তুলবে ?" "না, আমি তার গায়ে চিত্র করব।” মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বললে, “আমার সময় নেই, আমি চললুম।" কিন্তু, বেকার লোকের সঙ্গে কাজের লোক পারবে কেন। রোজ ওদের উৎসতলায় দেখা হয় আর রোজ সেই একই কথা, “তোমার কাখের একটি ঘড়া দাও, তাতে চিত্র कब्रय *