পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سالا لا হার মানতে হল, ঘড়া দিলে । اسی تصہے সেইটিকে ঘিরে ঘিরে বেকার অঁাকতে লাগল কত রঙের পাক, কত রেখার ঘের । আঁকা শেষ হলে মেয়েটি ঘড়া তুলে ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখলে । ভুরু বাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলে, “এর মানে ?” বেকার লোকটি বললে, "এর কোনো মানে নেই।” ঘড়া নিয়ে মেয়েটি বাড়ি গেল । সবার চোখের আড়ালে বসে সেটিকে সে নানা আলোতে নানা রকমে হেলিয়ে ঘুরিয়ে দেখলে। রাত্রে থেকে থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে দীপ জেলে চুপ করে বলে সেই চিত্রটা দেখতে লাগল। তার বয়সে এই সে প্রথম এমন কিছু দেখেছে যার কোনো মানে নেই। তার পরদিন যখন সে উংসতলায় এল তখন তার দুটি পায়ের ব্যস্ততায় একটু যেন বাধা পড়েছে। পা দুটি যেন চলতে চলতে আনমনা হয়ে ভাবছে— যা ভাবছে তার কোনো মানে নেই। সেদিনও বেকার মানুষ এক পাশে দাড়িয়ে । মেয়েটি বললে, "কী চাও।” সে বললে, “তোমার হাত থেকে আরও কাজ চাই ।”

  • কী কাজ দেব ?

“যদি রাজি হও, রঙিন স্থতো বুনে বুনে তোমার বেণী বাদবার দড়ি তৈরি করে দেব ।” “কী হবে ।” “কিছুই হবে না।” নানা রঙের নানা-কাজ-করা দড়ি তৈরি হল। এপন থেকে আয়না হাতে নিয়ে বেণী বাধতে মেয়ের অনেক সময় লাগে । কাজ পড়ে থাকে, বেলা বয়ে যায়। 8 এ দিকে দেখতে দেখতে কেজো স্বর্গে কাজের মধ্যে বড়ো বড়ো ফাক পড়তে লাগল। কান্নায় আর গানে সেই ফাক ভরে উঠল । স্বৰ্গীয় প্রবণের বড়ো চিস্থিত হল। সভা ডাকলে । তারা বললে, “এখানকার ইতিহাসে কখনো এমন ঘটে নি।”