পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩e রবীন্দ্র-রচনাবলী কত-ষে শান্তি তার একটা দৃষ্টান্ত এই যে, অন্ত সব দেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলেই মানুষ অস্থির হয়ে ওঝার খোজ করে। এখানে লে চিন্তাই নেই। কেননা ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে। NO এই ভাবেই দিন চলত, ভূতশাসনতন্ত্র নিয়ে কারো মনে দ্বিধা জাগত না ; চিরকালই গর্ব করতে পারত যে, এদের ভবিষ্যৎটা পোষা ভেড়ার মতো ভূতের খোটায় বঁধি, সে ভবিষ্যং ভ্যাও করে না, ম্যা’ও করে না, চুপ করে পড়ে থাকে মাটিতে, যেন একেবারে চিরকালের মতো মাটি । কেবল অতি সামান্ত একটা কারণে একটু মুশকিল বাধল। সেটা হচ্ছে এই যে, পৃথিবীর অন্ত দেশগুলোকে ভূতে পায় নি। তাই অন্য সব দেশে যত ঘানি ঘোরে তার থেকে তেল বেরোয় তাদের ভবিষ্যতের রথচক্রটাকে সচল করে রাখবার জন্তে, বুকের রক্ত পিষে ভূতের খপরে ঢেলে দেবার জন্তে নয়। কাজেই মানুষ সেখানে একেবারে জুড়িয়ে যায় নি। তারা ভয়ংকর সজাগ আছে। 8 এ দিকে দিব্যি ঠাণ্ডায় ভূতের রাজ্য জুড়ে “খোকা ঘুমোলো, পাড়া জুড়োলো' । সেটা খোকার পক্ষে আরামের, খোকার অভিভাবকের পক্ষেও ; আর পাড়ার কথা তো বলাই আছে । কিন্তু, ‘বর্গি এল দেশে’ । নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের পদটা খোড়া হয়েই থাকে। দেশে যত শিরোমণি চূড়ামণি আছে সবাইকে জিজ্ঞাসা করা গেল, “এমন হল কেন ।” 촉 তারা এক বাক্যে শিখা নেড়ে বললে, “এটা ভূতের দোষ নয়, ভূতুড়ে দেশের দোষ নয়, একমাত্র বগিরই দোষ । বগি আসে কেন।” শুনে সকলেই বললে, “তা তো বটেই ।” অত্যস্ত সাৰনা বোধ করলে। দোষ যারই থাক, খিড়কির আনাচে-কানাচে ঘোরে ভূতের পেয়াদা, আর সদরের রাস্তায়-ঘাটে ঘোরে অভূতের পেয়াদা ; ঘরে গেরস্তর টেকা দায়, ঘর থেকে বেরোবারও পথ নেই। এক দিক থেকে এ স্থাকে, "अंखिनां मांe * यांब्र-4क দিক থেকে ও হাকে, “খাজনা দাও।”