পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஆ লিপিক לסל এখন কথাটা দাড়িয়েছে ‘খাজনা দেব কিলে’ । এতকাল উত্তর দক্ষিণ পূব পশ্চিম থেকে বাকে বাকে নানা জাতের বুলবুলি এসে বেবাক ধান খেয়ে গেল, কারো ছশ ছিল না । জগতে যারা হুশিয়ার এরা তাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না, পাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। কিন্তু, তারা অকস্মাৎ এদের অত্যন্ত কাছে ঘেঁষে, এবং প্রায়শ্চিত্তও করে না। শিরোমণি-চুড়ামণির দল পুথি খুলে বলেন, "বেস্থশ যারা তারাই পবিত্র, হুশিয়ার স্বারা তারাই অশুচি, অতএব স্থশিয়ারদের প্রতি উদাসীন থেকে, প্রবুদ্ধষিব স্বপ্ত: ” ७टन शङ्करजं स्वरटाश्च एषांश्नन् इव । 6. কিন্তু, তৎসত্ত্বেও এ প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না খাজনা দেব কিলে’ । শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হাহা ক'রে তার উত্তর আসে, “আক্ৰ দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে ।” প্রশ্নমাত্রেরই দোষ এই যে, যখন আসে একা আসে না । তাই আরও একটা প্রশ্ন উঠে পড়েছে, "ভূতের শাসনটাই কি অনস্তকাল চলবে ।” শুনে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি আর মাসতুতো-পিসতুতোর দল কানে হাত দিয়ে বলে, "কী সর্বনাশ । এমন প্রশ্ন তো বাপের জন্মে শুনি নি। তা হলে সনাতন ঘুমের কী হবে— সেই আদিমতম, সকল জাগরণের চেয়ে প্রাচীনতম ঘুমের ?” প্রশ্নকারী বলে, “লে তো বুঝলুম, কিন্তু আধুনিকতম বুলবুলির কাক আর উপস্থিততম বগির দল, এদের কী করা যায় ।” মাসিপিসি বলে, “বুলবুলির ব্যাককে কৃষ্ণনাম শোনাব, আর বর্গির দলকেও।” অর্বাচনেরা উদ্ধত হয়ে বলে ওঠে, "যেমন করে পারি ভূত ছাড়াব।” ভূতের নায়েব চোখ পাকিয়ে বলে, "চুপ। এখনো ঘানি অচল হয় নি।” শুনে দেশের খোকা নিস্তন্ধ হয়, তার পরে পাশ ফিরে শোয় । Wy মোদা কথাটা হচ্ছে, বুড়ে কর্তা বেঁচেও নেই, মরেও নেই, ভূত হয়ে আছে। দেশটাকে লে নাড়েও না, অথচ ছাড়েও না । দেশের মধ্যে দুটো-একটা মান্থব, যারা দিনের বেঙ্গীলায়েবের ভয়ে কথা কয় না, তারা গভীর রাত্রে হাত জোড় করে বলে, "কর্তা, এখনো কি ছাড়বার সময় হয় নি।”