লিপিক אלb4 কামারের পসার বাড়িয়া কামারগিরির গায়ে সোনাদানা চড়িল এবং কোতোয়ালের হশিয়ারি দেখিয়া রাজা তাকে শিরোপা দিলেন । পাখিটা মরিল । কোনকালে যে কেউ তা ঠাহর করিতে পারে নাই। নিন্দুক লক্ষ্মীছাড়া রটাইল, “পাখি মরিয়াছে।” ভাগিনাকে ভাকিয়া রাজা বলিলেন, “ভাগিনা, এ কী কথা শুনি।” ভাগিনা বলিল, “মহারাজ, পাখিটার শিক্ষণ পুরা হইয়াছে।” রাজা শুখাইলেন, “ও কি আর লাফায় ।” ভাগিনা বলিল, “আরে রাম !”
- আর কি ওড়ে ।”
у "ן וב"
- আর কি গান গায় ।”
"ווה" “দানা না পাইলে আর কি চেচায় ।” “al to রাজা বলিলেন, "একবার পাখিটাকে আনো তো, দেখি ।” পাখি আসিল । সঙ্গে কোভোয়াল আসিল, পাইক আসিল, ঘোড়সওয়ার আসিল । রাজা পাখিটাকে টিপিলেন, লে ই করিল না, হু করিল না। কেবল তার পেটের মধ্যে পুথির শুকনো পাতা খল্খল্ গল্পগঞ্জ করিতে লাগিল । বাহিরে নববসন্সের দক্ষিণহাওয়ায় কিশলয়গুলি দীর্ঘনিশ্বাসে মুকুলিত বনের আকাশ আকুল করিয়া দিল । অস্পষ্ট জানলার ফাকে ফার্কে দেখা যায় সামনের বাড়ির জীবনযাত্রা। রেখা আর ছেদ, দেখা আর না-দেখা দিয়ে সেই ছবি আঁকা । একদিন পড়ার বই পড়ে রইল, বনমালীর চোখ গেল সেই দিকে । সেদিন দেখে, সে বাড়ির ঘরকার পুরোনো পটের উপর দুজন নতুন লোকের চেহারা। একজন বিধবা প্রবীণা, আর-একটি মেয়ের বলে বোলো হবে কি সতেরো ।
