পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী লোকে বলে, কলঙ্কদল স্থৰ্যলোকের আলো দখল ক’রে জ্যোতিলোকের নাম করেছে কালো । তাই তো সবই উলট-পালট, উপর-নামন নীচে— ভয়ে ভয়ে নিচু মাথায় সমুখটা যায় পিছে। হাচির ধাক্ক এতখানি, এটা গুজব মিথ্যে — এই নিয়ে সব কলেজপড়া বিজ্ঞানীদের চিত্তে অল্প কিছু লাগল ধোকণ ; রাগল অপর পক্ষে— বললে, পড়াশুনোয় কেবল ধুলো লাগায় চক্ষে, অন্ত দেশে অসম্ভব যা পুণ্য ভারতবর্ষে সম্ভব নয় বলিস যদি প্রায়শ্চিত্ত কর সে । এর পরে দুই দলে মিলে ইট পাটকেল ছোড়া— চক্ষে দেখায় সর্ষের ফুল, কেউ বা হল খোড়া । পুণ্য ভারতবর্ষে ওঠে বীরপুরুষের বড়াই, সমুদুরের এ পারেতে একেই বলে লড়াই । সিন্ধুপারে মৃত্যুনাটে চলছে নাচানাচি, বাংলাদেশের তেঁতুলবনে চৌকিদারের ইচি । সত্য হোক বা মিথ্যে হোক তা, আদমদিঘির পাড়ে বাদর চড়ে বসে আছে রামছাগলের ঘাড়ে । রামছাগলের দাড়ি নড়ে, বাজে রে ডুগডুগি— কাংলা মারে লেজের ঝাপট, জল ওঠে বুগৰুগি । কালিম্পং ১৫ মে ১ ৯৪ ০ ૨ কদমাগঞ্জ উজাড় করে আসছিল মাল মালদহে, চড়ায় পড়ে নৌকোডুবি হল যপন কালদহে, তলিয়ে গেল অগাধ জলে বস্ত বস্থা কদমা যে