পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে ९० ¢ বলেই ঘরে ঢুকে পড়ল। কালে কম্বলে সর্বাঙ্গ মোড়া । জিগেল করলেম, এ কেমন সজা তোমার । বললে, আমার বরসজা । বরসজ্জা ! বুঝিয়ে বলে । কনে দেখতে যাচ্ছি। ه জানি নে কেন, আমার যেন ঘুমে-ঘোলা বুদ্ধিতে ঠেকল যে, ঠিক হয়েছে, এই সজাই উচিত। উৎসাহ দিয়ে বললুম, লেজেছ ভালো । তোমার ওরিজিস্তালিটি দেখে খুশি হলুম। একেবারে ক্লাসিকাল সাজ । কী রকম । ভূতনাথ যখন তার তপস্বিনী কনেকে বর দিতে এলেন, তার গায়ে ছিল হাতির চামড়া । তোমার এটা যেন ভালুকের চামড়া। নারদ দেখলে খুশি হতেন । দাদা, সমজদার তুমি । এলেম এইজন্তেই তোমার কাছে এত রাত্তিরে । কত রাত বলো দেখি । দেড়টার বেশি হবে না । কনে কি এখনি দেখা চাই । ই, এখনি । শুনেই বলে উঠলেম, ভারি চমৎকার । কী কারণে বলো তো । কেন-যে এতদিন আইডিয়াটা মাথায় আসে নি তাই ভাবি । আপিসের বড়ো সাহেবের মুখ দেখা দিনের রোদদ্বরে, আর কনে দেখা মাঝরাত্তিরের অন্ধকারে । দাদা, তোমার মুখের কথা যেন অমৃতসমান। একটা পৌরাণিক নজির দাও তো । মহাদেব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন মহাকালীর দিকে অমাবস্তার ঘোর অন্ধকারে, এই কথাটা স্মরণ কোরো। অহো, দাদা, তোমার কথায় আমার গায়ে কাটা দিচ্ছে । সারাইম যাকে বলে । তা হলে আর কথা নেই। কনেট কে এবং আছেন কোথায় । আমার বৌদিদির ছোটো বোন, জাছেন তারই বাড়িতে। চেহারায় তোমার বৌদিদির সঙ্গে কি মেলে। মেলে বই কি, সহোদরা বটে। তা হলে অন্ধকার রাতের দরকার আছে ।