পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী NV ঝিনেদার জমিদার কালা চাদ রায়রা সে-বছর পুষেছিল একপাল পায়রা । বড়োবাবু খাটিয়াতে বসে বসে পান খায়, পায়রা আঙিনা জুড়ে খুঁটে খুঁটে ধান খায় হাসগুলো জলে চলে আঁকাবাক রকমে, পায়রা জমায় সভা বক-বক-বকমে । খবরের কাগজেতে shock দিল বক্ষে, প্যারাগ্রাফে ঠোক্কর লাগে তার চক্ষে । তিন দিন ধ’রে নাকি দুই দলে পোড়াদয় ঘুড়ি-কাটাকাটি নিয়ে মাথা-ফাটাফাটি হয় । কেউ বলে ঘুড়ি নয়, মনে হয় সন্ধ— পোলিটিকালের ষেন পাওয়া যায় গন্ধ । *রানাঘাট-সমাচারে লিখেছে রিপোর্টার— আঠারোই অভ্রানে শুরু হতে ভেরিটার বেশি বই কম নয় ছয়-সাত হাজারে গুণ্ডার দল এল সবজির বাজারে । এ খবর একেবারে লুকোনোই দরকার, গাপ করে দিল তাই ইংরেজ সরকার । ভয় ছিল কোনোদিন প্রশ্নের ধাক্কায় পালিয়ামেণ্টের হাওয়া পাছে পাক খায় । এডিটর বলে, এতে পুলিসের গাফেলি । পুলিস বলে যে, চলো বুঝেম্বঝে পা ফেলি ; ভাঙল কপাল যত কপালেরই দোষ সে, এসব ফসল ফলে কনগ্রেসি শস্তে । সবজির বাজারেতে মুলো মোচা সস্তায় পাওয়া গেল বাসি মাল ঝাক ঝুড়ি বস্তায় ।