পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>< রবীন্দ্র-রচনাবলী জানি তব জামাইয়ের জ্যাঠাইয়ের ষে বেহাই আদালতে কত ক’রে পেয়েছিল সে রেহাই । ঠাণ্ডা মেজাজ মোর সহজে তো রাগি নে, নইলে তোমার সেই আদরের ভাগিনে তার কথা বলি যদি— এই ব’লে বলাটা শুরু ক’রে ঘেঁটে দিল পঙ্কের তলাট । তার পরে জানা গেল গাজাখুরি সবটাই, মাথা-ফাটাফাটি আদি মিছে জনরবটাই । মাছ নিয়ে বকণবকি করেছিল জেলেটা, পচা কলা ছুড়ে তারে মেরেছিল ছেলেট। । আসল কথাটা এই আটলা ও পটলা বাধালো ধর্মঘটে জন ছয়ে জটলা । শুধু কুলি চারজন করেছিল গোলমাল— লালপাগড়ি সে এসে বলেছিল, তোল মাল । গুড়ের কলসিখানা মেতে উঠে ফেটেছিল, রাজ্যের থৌকিগুলো শু কে শু কে চেটেছিল । বক্তৃতা করেছিল হরিহর শিকদার— দোকানির বলেছিল, এ যে ভারি দিকদার । সাদা এই প্রতিবাদ লিখেছিল তারিণী, গ্রামের নিন্দে সে-যে সইতেই পারে নি । নেহাত পারে না যারা পাবলিশ না ক’রে সব-শেষ পাতে দিল বর্জই অথিরে । প্রতিবাদটুকু কোনো রেখা নাহি রেগে যায়, বেল থেকে তাল হয়ে গুজবটা থেকে যায় । ঠিকমতো সংবাদ লিখেছিল সজনী— সহ না হল সেটা, শুনেছে বা ক’জনই । জ্যাঠাইয়ের বেহাইয়ের মামলাটা ছাড়াতে যা ঘটেছে হাসি তার থেকে গেল পাড়াতে । আদরের ভাগনের কী কেলেঙ্কারি সে, বারাসতে বরিশালে হয়ে গেছে জারি সে ।