পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Co. २२१ বললে, আমাকে বরঞ্চ নেউলের লেজ খেতে বলো সেও রাজি, কিন্তু থ্যাকশেয়ালির ঘাড়ের মাংস ! শেষকালে কি খেতে হল । झल बझे कि । দাদামশায়, বাঘেরা তা হলে খুব ধাৰ্মিক ? ধামিক না হলে কি এত নিয়ম বাচিয়ে চলে। সেইজন্তেই তো শেয়ালরা ওদের ভারি ভক্তি করে। বাঘের এঁটো প্রসাদ পেলে ওরা বর্তিয়ে যায়। মাঘের ত্রয়োদশীতে যদি মঙ্গলবার পড়ে তা হলে সেদিন ভোর রাত্তিরে ঠিক দেড় প্রহর থাকতে বুড়ে বাঘের পা চেটে আসা শেয়ালদের ভারি পুণ্যকর্ম। কত শেয়াল প্রাণ দিয়েছে এই পুণ্যের জন্তে । পুপুর বিষম খটকা লাগল। বললে, বাঘরা এতই যদি ধাৰ্মিক হবে তা হলে জীবহুত্যে করে কাচা মাংস খায় কী করে । সে বুঝি যে-লে মাংস ৷ ও-যে মন্ত্র দিয়ে শোধন করা। किङ्गकय मल्ल । ওদের সনাতন হালুম-মন্ত্র। সেই মন্ত্র পড়ে তবে ওরা হত্যা করে। তাকে কি হত্যা বলে । যদি হালুম-মন্ত্র বলতে ভুলে যায়। বাঘপুঞ্জব-পশুিতের মতে তা হলে ওরা বিনা মন্ত্রে যে জীবকে মারে পরজন্মে সেই জীব হয়েই জন্মায়। ওদের ভারি ভয় পাছে মাস্থ্য হয়ে জন্মাতে হয় । কেন । ওরা বলে, মহিষের সর্বাক্ষ টাক-পড়া, কী কুত্ৰ! তার পরে, সামান্ত একটা লেজ, তাও নেই মামুষের দেহে । পিঠের মাছি তাড়াবার জন্তেই ওদের বিয়ে করতে হয় । আবার দেখেHনা, ওরা খাড়া দাড়িয়ে লঙের মতো দুই পায়ে ভর দিয়ে হাটে— দেখে আমরা ছেলে মরি। আধুনিক বাঘের মধ্যে সব চেয়ে বড়ো জ্ঞানী শার্দৌল্যতত্ত্বরত্ব বলেন, জীবন্থটির শেষের পালায় বিশ্বকৰ্মার মালমশলা যখন সমস্তই কাবার হয়ে গেল তখনই মানুষ গড়তে তার হঠাৎ শখ হল । তাই বেচারাদের পায়ের তলার জন্তে থাবা দূরে থাক কয়েক-টুকরো খুরের জোগাড় করতে পারলেন না, জুতো পরে তবে ওরা পায়ের লজা নিবারণ করতে পারে— আর, গায়ের লজ ঢাকে ওরা কাপড়ে জড়িয়ে। সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ওরাই ছল লজ্জিত জীব। এত লজ জীবলোকে আর কোথাও নেই।