পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

份 - रै२> পুটু বলে, আমি কালো কৃষ্ট, কখনো মাখি নি ও জিনিসটি । কথা শুনে পায় মোর হাসি, নই মেম-সাহেবের মালি । বাঘ বলে, নেই তোর লজা ? খাব তোর হাড় মাস মজা । পুটু বলে, ছিছি ওরে বাপ, মুখেও আনিলে হবে পাপ । জান না কি আমি অস্পৃশু, মহাত্মা গাধিজির শিল্প । আমার মাংস যদি পাও জাত যাবে জান না কি তাও । পায়ে ধরি করিয়ো না রাগ – চুল নে দুস নে, বলে বাঘ, আরে ছি ছি, আরে রাম রাম, বাঘ নাপাড়ায় বদনাম রটে যাবে ; ঘরে মেয়ে ঠাসা, ঘুচে যাবে বিবাহের আশা দেবী বাঘ-চওঁীর কোপে । কাজ নেই গ্নিসেরিন সোপে । জান, পুপুদিদি । আধুনিক বাঘেদের মধ্যে ভারি একটা কাও চলছে— যাকে বলে প্রগতি, প্রচেষ্টা । ওদের প্রগতিওয়ালা প্রচারকেরা বাঘ-সমাজে ব’লে বেড়াচ্ছে যে, অস্পৃগু ব'লে খাদ্য বিচার করা পবিত্র জন্ত-আত্মার প্রতি অবমাননা। ওরা বলছে, আজ থেকে আমরা যাকে পাব তাকেই খাব ; বা থাবা দিয়ে খাব, ডান থাবা দিয়ে খাব, পিছনের থাবা দিয়েও খাব ; হালুম-মন্ত্র পড়েও খাব, না পড়েও খাৰ— এমন-কি, বৃহস্পতিবারেও আমরা আঁচড়ে খাব, শনিবারেও আমরা কামড়ে খাব। এত ঔদার্ব। এই বাঘের যুক্তিবাদী এবং সর্বজীবে এদের সন্মানবোধ অত্যন্ত ফলাও । এমনকি, এরা পশ্চিম-পারের চাৰী কৈবর্তদেরও খেতে চায়, এতই এদের উদার মন । ঘোরতর