পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী ঘরে ? न1 ।। দেশে ? न' ।। বিলেতে ? . ब1 ।। তুমি যে বলছিলে, আণ্ডামানে যাওয়া ওর একরকম ঠিক হয়ে আছে। গেল নাকি । দরকার হল না । তা হলে কী হল আমাকে বলছ না কেন । ভয় পাবে কিম্বা দুঃখ পাবে, তাই বলি নে । তা হোক, বলতে হবে । আচ্ছা, তবে শোনো । সেদিন ক্লাস পড়াবার খাতিরে আমার পড়ে নেবার কথা ছিল ‘বিদগ্ধমুখমণ্ডন’। একসময় হঠাৎ দেখি, সেটা রয়েছে পড়ে, হাতে উঠে এসেছে পাচুপাকৃড়াশির পিস্শাশুড়ি । পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছিলুম, রাত হবে তখন আড়াইট । স্বপ্ন দেখছি, গরম তেল জলে উঠে আমাদের কিনি বাম্নির মুখ বেবাক গিয়েছে পুড়ে ; সাত দিন সাত রাত্তির হত্যে দিয়ে তারকেশ্বরের প্রসাদ পেয়েছে দু'কোঁটে লাহিড়ি কোম্পানির মূল্লাইট স্নে! ; তাই মাখছে মুখে ঘষে ঘষে। আমি বুঝিয়ে বললুম, ওতে হবে না গো, মোষের বাচ্ছার গালের চামড়া কেটে নিয়ে মূপে জুড়তে হবে, নইলে রঙ মিলবে না । শুনেই আমার কাছে সওয়া তিন টাকা ধার নিয়ে সে ধর্মতলার বাজারে মোষ কিনতে দৌড়েছে। এমন সময় ঘরে একটা কী শব্দ শোনা গেল, কে যেন হাওয়ার তৈরি চটিজুতো হ্রস হুল ক’রে টানতে টানতে ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধড়ফড়, ক’রে উঠলেম, উসকে দিলেম লণ্ঠনটা। ঘরে একটা-কিছু এসেছে দেখা গেল কিন্তু সে যে কে, সে যে কী, লে যে কেমন, বোঝা গেল না। বুক ধড়ফড়, করছে, তবু জোর গলা ক’রে হেঁকে বললুম, কে হে তুমি । পুলিস ডাকব নাকি । অদ্ভুত হাড়িগলায় এই জীবটা বললে, কী দাদা, চিনতে পারছ না ? আমি যে তোমার পুপেদিদির লে। এখানে যে আমার নেমস্তন্ন ছিল । আমি বললুম, বাজে কথা বলছ, এ কী চেহারা তোমার ! সে বললে, চেহারাখানা হারিয়ে ফেলেছি । হারিয়ে ফেলেছ ? মানে কী হল । মানেট বলি। পুপেদিদির ঘরে ভোজ, সকাল-সকাল নাইতে গেলেম । বেলা