পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী মিউনিকে নিয়ে গেছে ছাট গোফ যত্নেই, তারে আর কোনোমতে ফেরাবার পথ নেই। বিড়াল ফেরার হল, নাই নামগন্ধ ; জজ বলে, তাই ব’লে মামলা কি বন্ধ । তখনি চৌকি ছেড়ে রেগে করে পাচারি, থেকে থেকে হুংকারে কেঁপে ওঠে কাছারি । জজ বলে, গেল কোথা ফরিয়াদী আসামী ! হুজুর, পেয়াদা বলে, বেটাদের চাষামি ! শুনি নাকি দুই ভাই উকিলের তাকাদায় বলে গেছে, আমাদের বুঝি বেঁচে থাকা দায় ! কণ্ঠে এমনি ফাস এ টে দিল জড়িয়ে, মোক্তারে কী করিবে সাক্ষীরে পড়িয়ে । উদয়ন [ শাস্তিনিকেতন ] ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ (t ছেড়া মেঘের আলো পড়ে দেউলচুড়ার ত্ৰিশূলে ; কলুবুড়ি শাকসবজি তুলেছে পাচমিশুলে । চাধী খেতের সীমানা দেয় উচু ক’রে আল তুলে ; নদীতে জল কানায় কানায়, ডিঙি চলে পাল তুলে । কোমর-ঘের আঁচলখানা, হাতে পানের কৌটা— ঘোষপাড়াতে হনহনিয়ে চলে নাপিতবউট। ৷ গোকুল ছোড়া গুড়ি অঁাকড়ে ওঠে গাছের উপুরি,