পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९१२ রবীন্দ্র-রচনাবলী গন্ধবের কাধে তন্থরা নিয়ে দলে দলে দৌড় দিল ইন্দ্রলোকের খিড়কির আঙিনায়, যেখানে শচীদেবী স্নানাস্তে মন্দারকুঞ্চছায়ায় পারিজাতকেশরের ধূপধুমে চুল শুকোতে যান । ধরণীদেবী ভয়ে কম্পান্বিত ; ইষ্টমন্ত্র জপতে জপতে ভাবতে লাগলেন, ভুল করেছি বা । সেই বেহরে ঝড়ের উন্টোপাণ্টা ধাক্কায় কামানের মুখের তপ্ত গোলার মতো ধকধক শব্দে বেরিয়ে পড়তে লাগল পুরুষ — কী দাদা, চুপচাপ যে ! কথাগুলো মনে লাগছে তো ? লাগছে বই-কি । একেবারে ছমদাম্ শব্দে লাগছে। স্বাক্টর সর্বপ্রধান পর্বে বেহরেরই রাজত্ব, এ কথাটা বুঝতে পেরেছ তে; ? বুঝিয়ে দাও-না । তরল জলের কোমল একাধিপত্যকে ঢু মেরে, গু তো মেরে, লাথি মেরে, কিল মেরে, ঘুষে মেরে, ধাক্ক মেরে, উঠে পড়তে লাগল ডাঙা তার পাথুরে নেড় মুণ্ডুগুলো তুলে | ভূলোকের ইতিহাসে এইটেকেই সব চেয়ে বড়ে পর্ব বলে মান কি না । মানি বই-কি । এত কাল পরে বিধাতার পৌরুষ প্রকাশ পেল ডাঙায় ; পুরুষের স্বাক্ষর পড়ল স্মৃষ্টির BB BBB S BBBBBB B BBBB BBBSBBB S BBBBS BBB BBBBBS কখনো বরফে জমানে!, কপনো ভূমিকম্পের জবৰ্দস্তির যোগে মাটিকে ষ্টা করিয়ে কবিরাজি বড়ির মতে পাহাড়গুলোকে গিলিয়ে খাওয়ানে— এর মধ্যে মেয়েলি কিছু নেই, সে কথ; মান কি না । মানি বই-কি ! (; জলে ওঠে কলধ্বনি, হাওয়ায় বঁশি বাজে স্টে-সে— কিন্তু বিচলিত ডাঙ খন ডাক পড়তে থাকে তপন ভরতের সংগীতশাস্কটাকে পিণ্ডি পাকিয়ে দেয়। তোমার মুখ দেখে বোধ হচ্ছে, কথাটা ভালো লাগছে না। কী ভাবছ বলেষ্ট ফেলে |->| | | আমি ভাবছি, আর্ট মাত্রেরই একটা পুরাগত বনেদ আছে যাকে বলে ট্র্যাডিশন । তোমার বেসুরধ্বনির অর্টি কে বনেদি ব’লে প্রমাণ করতে পার কি । খুব পারি । তোমাদের স্বরের মূল ট্র্যাডিশন মেয়ে-দেবতার বাদ্যযন্ত্রে । যদি বেহরের উদ্ভব খুঁজতে চাও তবে সিধে চলে যাও পৌরাণিক মেয়েমহল পেরিয়ে পুরুষ দেবত জটাধারীর দরজায় । কৈলাসে বীণাযন্ত্র বে-আইনি, উর্বশী সেখানে নাচের বায়ন নেয় নি। যিনি সেখানে ভীষণ বেতালে তাণ্ডবনৃত্য করেন তার নদীভূঙ্গ ফুকতে থাকে শিঙে, তিনি বাজান ববম্বম গালবাদ্য, আর কড়াকড় কড়াকড় ডমরু। ধ্বসে পড়তে থাকে কৈলাসের পিণ্ড পিণ্ড পাথর । মছাবেম্বরের আদি-উৎপত্তিটা স্পষ্ট হয়েছে তো ?