পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী সবাইকার কথা বলব কী করে । যারা খাবে তারা খাবে । হতে পারে উপকার । যারা থাবে না তাদের অপকার হবে না । আমি বললুম, মাস্টার, চীন-দার্শনিকের উপদেশমতে তোমার গেরস্থালিতে মনিব নেই বুঝি ? না ! তা হলে চাকরই বা আছে কেন । মনিব না থাকলেই চাকর স্বতই থাকে না । তোমার এখানে চাকরে মনিবে বেমালুম মিশিয়ে গিয়ে একট। যৌগিক পদার্থ খাড় হয়েছে বুঝি ? মাস্টার হেসে বললে, অক্সিজেন হাইড্রোজেনের দাহ মেজাজ ঘুচে গিয়ে দোহে মিলে একেবারে জল । আমি বললুম, যদি বিয়ে করতে ভায়, পাড় ছেড়ে চীনের দর্শন দৌড় দিত । থেকে ও থাকবে না, গিন্নি এমন নিবিশেষ পদার্থ নয় । মুখের উপর ঘোমট; টেনে ৪ তোমার সংসারে সে হত অতিশয় স্পষ্ট । তার রাজ্যে রাজত্বটা তার কটাক্ষে পেত দোল ; সর্বদ ধাক্কা লাগতি, কখনো পিঠে, কথনে বুকে । মাস্টার বললে, তা হলে কর্তী রিটরন টিকিট না কিনেষ্ট শেড় মারত ড়েরাগাজি খায়ে, গিন্নিত্ব অন্তৰ্ধান করত ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলের রাস্ত। বেয়ে বাপের বাড়িতে । মাস্টার মাঝে মাঝে হাসির কথা বলে, কিন্তু ষ্টাসে না । ' تصنيو পুপুদিদি বললে, আমাদের মাস্টারমশায়কে নিয়ে যদি গল্পের পাল বাধতে হয় কিরকম ক’রে বাধ । তা হলে দশ লক্ষ বছর বাদ দি তার মানে, আজগুবি গল্প বানাতে, অথচ আজকের দিনের বিরুদ্ধ পক্ষের সাক্ষীর শঙ্কা থাকত না । কোনো সাহিত্য ওয়াল কখনো সাক্ষীর ভয় করে না । আসল কথা, আমার গল্পট। ফুটে উঠতে যুগাস্তরের দরকার করবে। কেন, সেইটে বুঝিয়ে বলি– পৃথিবী-স্কৃষ্টির গোড়াকার মালমলল ছিল পাথর লোহা প্রভৃতি মোট মোট ভারী ভারী জিনিস । তারই ঢালাই পেটাই চলেছিল অনেককাল । কঠোরের বে-আক্রত ছিল বহু যুগ ধরে। অবশেষে নরম মাটি পৃথিবীকে হামল আস্তরণে ঢাক দিয়ে স্থষ্টিকর্তার যেন লজ্জা き