পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯২ রবীন্দ্র-রচনাবলী ঐ ইচ্ছেটাই ব্যক্ত হ’ত । কিন্তু, মুকুমারের কথাটা আমার মনকে টেনে নিয়েছিল অন্য দিকে । পুপে বলে উঠল, জানি, জানি, সুকুমারদা'র সঙ্গেই তোমার মনের মিল ছিল বেশি । আমি বললুম, তার একমাত্র কারণ, ও ছিল ছেলে, আমিও ছেলে হয়েষ্ট জন্মেছিলুম একদিন । ওর ভাবনার ছাঁচ ছিল আমারই শিশু ভাবনার ছাচে । তুমি সেদিন তোমার খেলার হাড়িকুড়ি নিয়ে ভাবী গৃহস্থালির যে স্বপ্নলোক বানিয়ে তুলে খুশি হতে সেটা দেখতে পেতুম একটু তফাত ' থেকে । তুমি তোমার খেলার থোকাকে কোলে ক’রে যপন নাচাতে, তার স্নেহের রসটা ষোলো আনা পাবার সাধ্য আমার ছিল না । পুপু বললে, আচ্ছা, সে কথা থাক, সেদিন তুমি কী হতে ইচ্ছে করছিলে বলে । প্রথম প্রহর, মাঘের শেষে হাওয়া হয়েছে উতলা, পুরোনো আশথগাছট। ১ঞ্চল হয়ে উঠেছে ছেলেমাচুষের মতে, নদীর জলে উঠেছে কলরব, উচুনিচু ছাড়ায় ঝাপসা BBB DBBB BBB S BBBBB BB BBBB BBBS BB BBBBSB BBB স্বৰূরতা, মনে হচ্ছে যেন অনেক দূরের ওপর থেকে একটা ঘণ্টার ধ্বনি ক্ষণতম হয়ে গেছে বাতাসে, ষেন রোদস্তরে মিশিয়ে দিয়েছে তার কথাটাকে : বেলা যায় । তোমার মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল, একপান। গাছ ওয়ার চেয়ে নদী বন আকাশ নিয়ে একথান সমগ্র ভূদৃত হয়ে যাওয়ার কল্পনা তোমার কাছে অনেক বেশি স্বষ্টিছাড়া বোধ হল । সুকুমার বললে, গাছপাল! নদী সবটার উপরে তুমি ছড়িয়ে মিলিয়ে গেছ মনে করতে আমার ভারি মজা লাগছে । আচ্ছা, সত্যযুগ কি কোনোদিন আসবে। যতদিন না আসে ততদিন ছবি আছে, কবিতা আছে। আপনাকে স্কুলে গিয়ে আর-কিছু হয়ে যাবার ঐ একট বড়ে রাস্ত । স্বকুমার বললে, তুমি যেটা বললে ওটা কি ছবিতে এঁকেছ । ই, এঁকেছি। আমি ও একটা অঁাকব । স্বকুমারের স্পর্ধার কথা শুনে তুমি বলে উঠলে, পারবে না কি তুমি আঁকতে ।