পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী মাঠে মাঠে মকৃমকিয়ে 途 ডাকছে ব্যাঙ উদীচী [ শাস্তিনিকেতন ] ২০ অগস্ট ১৯৪০ وق\ খেদুবাবুর এ ধো পুকুর, মাছ উঠেছে ভেসে ; পদ্মমণি চচ্চড়িতে লঙ্কা দিল ঠেসে । আপনি এল ব্যাকটিরিয়া, তাকে ডাকা হয় নাই । হাসপাতালের মাখন ঘোষাল বলেছিল, ভয় নাই । সে বলে, সব বাজে কথা, খাবার জিনিস খাদ্য— দশ দিনেতেই ঘটিয়ে দিল দশজনারই শ্রাদ্ধ । শ্রাদ্ধের যে ভোজন হবে কাচার্তেতুল দরকার, বেগুনমুলোর সন্ধানেতে ছুটল হ্যাড়াসরকার । বেগুনমুলো পাওয়া যাবে নিলফামারির বাজারে, নগদ দামে বিক্রি করে তিন টাকা দাম হাজারে । দুমকাতে লোক পাঠিয়েছিল, বানিয়ে দেবে মুড়কি— সন্দেহ হয় ওজনমতে মিশল তাতে গুড় কি । সর্ষে যে চাই মণ দু’তিনেক ঝোলে ঝালে বাটনায়, কালুবাবু তারই খোজে গেলেন ধেয়ে পাটনায় । বিষম খিদেয় করল চুরি রামছাগলের দুধ, তারই সঙ্গে মিশিয়ে নিলে গমভাঙানির খুদ। ঐ শোনা যায় রেডিয়োতে বোচা গোফের হুমকি ; দেশবিদেশে শহরগ্রামে গলা-কাটার ধুম কী । খাচায় পোষা চন্দনাটা ফড়িঙে পেট ভরে ; সকাল থেকে নাম করে গান, হরে কৃষ্ণ হরে । বালুর চরে আলুহাটা— হাতে বেতের চুপড়ি, খেতের মধ্যে ঢুকে কালু মুলো নিল উপড়ি ।