পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পসল্প ۵۱ ه نها আমার থলি থেকে টাকা গেল কোথায় । ওসমান রেগে উঠে বললে, আছে আপনার লোহার সিন্দুকে । জামাই বাড়ি থেকে স্ত্রী ফিরে এসে বললে, হয়েছে কী । নীলমণি বললে, বাড়িতে ডাকাত পুষেছি। পকেট থেকে টাকা নিয়ে গেছে । স্ত্রী বললে, স্থায় রে কপাল— সেদিন যে বাড়িওয়ালাকে বাড়িভাড়া শোপ করে দিলে ৩৫২ টাকা । তাই নাকি । বাড়িওয়ালা যে বাড়ি ছাড়বার জন্ত আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল । তুমি ভাড়া শোধ করে দিয়েছিলে তার পরেই। সে কী কথা । আমি যে বাদুড়বাগানে নিমচাদ হালদারের কাছে গিয়ে তার বাড়ি ভাড়া নিয়েছি । স্ত্রী বললে, বাদুড়বাগান, সে আবার কোন চুলোয়। নীলমণি বললে, রোলো, ভেবে দেখি । সে যে কোন গলিতে কোন নম্বরে তা তে; মনে পড়ছে না । কিন্তু লোকটির সঙ্গে লেখাপড়া হয়ে গেছে— দেড় বছরের জন্য ভাড়া নিতে হবে । স্ত্রী বললে, বেশ করেছ, এখন দুটো বাড়ির ভাড়া সামলাবে কে । নীলমণি বললে, সেটা তো ভাবনার কথা নয়। আমি ভাবছি, কোন নম্বর, কোন গলি । আমার নোটুবুকে বাদুড়বাগানের বাসা লেখা আছে। কিন্তু, মনে পড়ছে না, গলিটার নম্বর লেখা আছে কি না । তা, তোমার নোটবইটা বের করো-না ! মুশকিল হয়েছে যে, তিন দিন ধরে নোটবইটা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাগ্নে বললে, মামা, মনে নেই ? সেটা যে তুমি দিদিকে দিয়েছিলে স্কুলের কপি লিখতে । তোর দিদি কোথায় গেল । তিনি তো গেছেন এলাহাবাদে মেলোমশায়ের বাড়িতে । মুশকিলে ফেললি দেখছি। এখন কোথায় খুঁজে পাই, কোন গলি, কোন নম্বর । এমন সময়ে এসে পড়ল নিমৰ্চাদ হালদারের কেরানি । লে বললে, বাদুড়বাগানের বাড়ির ভাড়া চাইতে এসেছি । কোন বাড়ি । সেই ষে ১৩ নম্বর শিৰু সমান্ধারের গলি ।