পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পসল্প ৩২১ ম্যাজিশিয়ান কুলমি বললে, আচ্ছা দাদামশায়, শুনেছি এক সময়ে তুমি বড়ো বড়ো কথা নিয়ে খুব বড়ো বড়ো বই লিখেছিলে । জীবনে অনেক দুষ্কৰ্ম করেছি, তা কবুল করতে হবে। ভারতচন্দ্র বলেছেন, সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর। আমার ভালো লাগে না মনে করতে যে, আমি তোমার সময় নষ্ট করে দিচ্ছি । ভাগ্যবান মানুষেরই যোগ্য লোক জোটে সময় নষ্ট ক’রে দেবার । আমি বুঝি তোমার সেই যোগ্য লোক ? আমার কপালক্রমে পেয়েছি, খুঁজলে পাওয়া যায় না। তোমাকে খুব ছেলেমাহুষি করাই ? দেখো, অনেকদিন ধ’রে আমি গম্ভীর পোশাকি সাজ প’রে এতদিন কাটিয়েছি, সেলাম পেয়েছি অনেক । এপন তোমার দরবারে এসে ছেলেমাণ্ডুবির ঢিলে কাপড় প'রে ইপি ছেড়েছি । সময় নষ্ট করার কথা বলছ, দিদি— এক সময় তার হুকুম ছিল না। তখন ছিলুম সময়ের গোলাম । আজ আমি গোলামিতে ইস্তফা দিয়েছি । শেষের ক’টা দিন আরামে কাটবে। ছেলেমামুষির দোসর পেয়ে লম্বা কেদারায় প! ছড়িয়ে বসেছি । যা খুশি বলে যাব, মাথা চুলকে কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে না । তোমার এই ছেলেমামুষির নেশাতেই তুমি যা খুশি তাই বানিয়ে বলছ । কী বানিয়েছি বলো । যেমন তোমাদের ঐ হ. চ. হু. ; আমনতরো অদ্ভূত খ্যাপাটে মাহুষ তো আমি দেখি নি । দেখো দিদি, এক-একটা জীব জন্মায় যার কাঠামোটা হঠাৎ যায় বেঁকে । সে হয় মিউজিয়মের মাল। ঐ হ. চ. হু. আমার মিউজিয়মে দিয়েছেন ধরা। ওঁকে পেয়ে তুমি খুব খুশি হয়েছিলে ? তা হয়েছিলুম। কেননা তখন তোমার ইক্কমালি গিয়েছেন চলে শ্বশুরবাড়ি । আমাকে অবাক ক’রে দেবার লোকের অভাব ঘটেছিল। ঠিক সেই সময় এসেছিলেন হরীশচন্দ্ৰ হালদার একমাখা টাক নিয়ে । তার তাক লাগিয়ে দেবার রকমটা ছিল