পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী 8סס ঘাটে, তোমার মা নিলেন কুড়িয়ে । কুসমি ভারি খুশি হয়ে বললে হাততালি দিয়ে, দাদামশায়, আচ্ছা, এ কি সত্যি। আমি বললুম, ঐ দেখো, কে বললে সত্যি । আমি কি সত্যিকে মানি । এ হল আরও-সত্যি । কুসমি বললে, আচ্ছা, আমি কি পরীস্থানে ফিরে যেতে পারব না। আমি বললুম, পারতেও পার, যদি তোমার স্বপ্নের পালে পরীস্থানের হাওয়া এসে লাগে । আচ্ছ, যদি হাওয়া লাগে তবে কোন রাস্তায় কোথা দিয়ে কোথায় যাব । সে কি অনে—ক দূরে। আমি বললুম, সে খুব কাছে । কত কাছে । যত কাছে তুমি আছ আর আমি আছি। ঐ বিছানার বাইরে যেতে হবে না। আর-একদিন জানল দিয়ে পড়ুক এসে জ্যোংস্না ; এবার যখন তুমি তাকিয়ে দেখবে বাইরে, তোমার আর সন্দেহ হবে না। তুমি দেখবে জ্যোংস্নার স্রোত বেয়ে মেঘের খেয়ানেীকে এসে পেচচ্ছে । কিন্তু, তুমি যে এখন পৃথিবীর পর হয়েছ, ও নৌকোয় তোমার কুলোবে না। এখন তুমি তোমার দেহ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, কেবল তোমার মন থাকবে তোমার সাথি । তোমার সত্য থাকবে এই পৃথিবীতে প’ড়ে আর তোমার আরও-সত্য যাবে কোথায় ভেসে, আমরা কেউ তার নাগাল পাব না । কুসমি বললে, আচ্ছা, এবারে পূর্ণিমারাত এলে আমি ঐ আকাশের পানে তাকিয়ে থাকব। দাদামশায়, তুমি কি আমার হাত ধরে যাবে। আমি বললুম, আমি এইখানে বলে বসে পথ দেখিয়ে দিতে পারব। আমার সেই ক্ষমতা আছে— কেননা আমি সেই আরও-সত্যের কারবারি । 脅 事 事 যেট। তোমায় লুকিয়ে-জানা সেটাই আমার পেয়ার, বাপ মা তোমায় যে নাম দিল থোড়াই করি কেয়ার । সত্য দেখায় যেটা দেখি তারেই বলি পরী, আমি ছাড়া কজন জানে তুমি যে অঙ্গরী।