পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পসল্প ভোরবেলা জানালায় পাখিগুলো জাগালে ভাবিতাম, আছি যেন স্বর্গের নাগালে । মনে হ’ত, পাক1 ধানে বঁাশি যেন বাজানো, মায়ের দ্বাচল-ভরা দান যেন সাজানো । তরী যেত নীলাকাশে সাদা পাল মেলিয়া, প্রাণে যেত অজানার ছায়াখানি ফেলিয়া । বুনো হাস নদীপারে মেলে যেত পাথা সে, উতলা ভাবনা মোর নিয়ে যেত আকাশে । নদীর শুনেছি ধ্বনি কত রাতদুপুরে, অঙ্গরী যেত যেন তাল রেখে নৃপুরে । পূজার বেজেছে বাশি ঘুম হতে উঠি তই, পূজায় পাড়ার হাওয়া ভরে যেত ছুটিতেই । বন্ধুরা জুটিতাম কত নব বরষে, স্বধায় ভরিত প্রাণ স্বহৃদের পরশে । পশ্চিমে হেনকালে পথে কাটা বিছিয়ে সভ্যতা দেখা দিল দাত তার খি চিয়ে । সভ্যতা কারে বলে ভেবেছিন্থ জানি তা— আজ দেখি কী অশুচি, কী যে অপমানিত । কলবল সম্বল সিভিলাইজেশনের, তার সবচেয়ে কাজ মাহুষকে পেষণের । মাছুষের সাজে কে ষে সাজিয়েছে অস্বরে, আজ দেখি “পশু" বলা গাল দেওয়া পশুরে । মাহুষকে ভুল ক’রে গড়েছেন বিধাতা, কত মারে এত বাকা হতে পারে সিধা ভণ । দয়া কি হয়েছে তার হতাশের রোদনে, তাই গিয়েছেন লেগে ভ্ৰমসংশোধনে । আজি তিনি নররূপী দানবের বংশে মান্থব লাগিয়েছেন মাহুষের ধ্বংসে । <Ᏹ☾ ☾