পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পসল্প Ꮼ☾Ꮌ যদি দেখে টানাটানি খাবারে বলে, কী যে পেট ভার, বাবা রে ! ব্যঞ্জনে স্থন নেই, খাবে তা ; মুখ দেখে বোঝা নাহি যাবে তা । যদি শোনে, বা তা বলে লোকরা বলে, আহা, ওরা ছেলে-ছোকরা । পাচু বই নিয়ে গেল না বলে ; বলে, খোটা দিয়ো নাকে তা ব'লে । বন্ধু ঠকায় যদি, সইবে ; বলে, হিলাবের ভূল দৈবে। ধার নিয়ে যার কোনো সাড়া নেই বলে তারে, বিশেষ তো তাড়া নেই। যত কেন যায় তারে ঘা মারি বলে, দোষ ছিল বুঝি আমারি। মুক্তকুস্তল৷ আমার খুদে বন্ধুরা এসে হাজির তাদের নালিশ নিয়ে। বললে, দাদামশায় তুষি কি আমাদের ছেলেমানুষ মনে কর । তা, ভাই, ঐ ভুলটাই তো করেছিলুম। আজকাল নিজেরই বয়েসটার ভুল হিসেব করতে শুরু করেছি । রূপকথা আমাদের চলবে না, আমাদের বয়েস হয়ে গেছে । আমি বললুম, ভায়া, রূপকথার কথাটা তো কিছুই নয়। ওর রূপটাই হল আসল । সেটা সব বয়েসেই চলে। আচ্ছা, ভালো, যদি পছন্দ না হয় তবে দেখি খুজে-পেতে । নিজের বয়েসটাতে ডুব মেরে তোমাদের বয়েসটাকে মনে আনতে চেষ্টা করছি। তার খলি থেকে রূপকথা নাহয় বাদ দিলুম, তার পরের সারে দেখতে পাই মৎস্তনারীর উপাখ্যান । লেও চলবে না। তোমরা নতুন যুগের ছেলে, খাটি খবর চাও ; ফল করে জিজ্ঞেস করে বলবে, লেজ যদি ছয় মাছের, মুড়ো কী করে হবে মামুষের। রোলো, তবে ভেবে দেখি । তোমাদের বয়েসে, এমন-কি তোমাদের চেয়ে কিছু বেশি বয়েলে আমরা ম্যাজিকওয়ালা হরীশ হালদারকে পেয়ে বসেছিলুম। শুধু তার ম্যাজিকে হাত