পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०२ R. রবীন্দ্র-রচনাবলী সে ধারার টানে তীখানি চলে সেই ডাক শুনে মন মোয় টলে, এই টানাটানি ঘুচাও জগার एम्नेह विषय प्रांग्न । যদি উচ্চারণ মেনে বানান করা যেত তা হলে বাউলের গানের চেহারা হত— অচিণ্ডাকে নদীর্ষণকে ভাবে শোনা যায়। সাধু ভাষার কবিতায় বাংলা শব্দের হসন্তরীতি যে মানা হয় নি তা নয়, কিন্তু তাদের পরস্পরকে ঠোকাঠুকি ঘেঁষাৰ্ঘেষি করতে দেওয়া হয় না। বাউলের গানে আছে ‘ডাকের চোটে মন যে টলে’ ৷ এখানে ‘ডাকের' আর ‘চোটে’, ‘মন’ আর ‘ষে', এদের মধ্যে উচ্চারণের কোনো ফাক থাকে না। কিন্তু সাধু ভাষার গানে ‘মন’ আর "মোর’ হলন্ত শব্দ হলেও হসন্ত শব্দের স্বভাব রক্ষণ করে না, সন্ধির নিয়মে পরম্পর এঁটে যায় না। বাংলা ভাষার সবচেয়ে পুরোনো ছন্দ পয়ারের ছাদের, অর্থাৎ দুই সংখ্যার ওজনে । ধেমন— খন ডেকে ব'লে যান রোদে ধান জায়ায় পান । দিনে রোদ রাতে জল ভাতে বাড়ে ধানের বল । এমনি ক’রে হতে হতে ছন্দের মধ্যে এসে পড়ে তিনের মাত্রা । যেমন— আনহি ৰসত আনছি চাষ, বলে ডাক তাহার বিনাশ । কিংবা— * আষাঢ়ে কাড়াল নামৰে, अवांसtन कांप्लांन थानररू, ভাদরে কাড়ান শিষকে, জাগিলে কাড়ান ফিসকে । এর অর্থ বোঝাবার দায়িত্ব নিতে পারব না । দুই মাত্রার ছড়ার ছন্দ পরিণত রূপ নিয়েছে পয়ারে। বাঙালি বহুকাল ধরে এই ছন্দে গেয়ে এসেছে রামায়ণ মহাভারত একটানা স্বরে। এই ছন্দে প্রবাহিত প্রাদেশিক পুরাণকাহিনী রঙিয়েছে বাঙালির হৃদয়কে । দারিদ্র্য ছিল তার জীবন বাত্রায়, তার ভাগ্যদেবতা ছিল অত্যাচারপরায়ণ, সে এমন নৌকোয় ভাগছিল বার হাল