পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৫

বাংলাভাষা-পরিচয় 曝 8ጏግ হল- nas । তার পর থেকে দরকার পড়লে ব ফলার চিহ্নটাকে ব্যবহার করি আকারটাকে বাকিয়ে দেবার জন্তে । Paris শবকে বাংলায় লিখি প্যারিস, সংস্কৃত ৰানানের নিয়ম অনুসারে এর উচ্চারণ হওয়া উচিত ছিল ‘পিয়ারিস’ ৷ একদা ‘স্তায়’ শঙ্কটাকে বাংলায় নেয়ায়’ লেখা হয়েছে দেখেছি । অথচ ‘স্তায়’ শব্দকে বানানের ছলনায় আমরা তৎসম শৰ বলে চালাই। 'যম'কেও DDBS BB BDD BB DDD DDD BBBB DDS DD BBBD BS BBB DDD তদ্ভব বাংলা । সংস্কৃত শব্দের একার বাংলায় অনেক স্থলেই স্বভাব পরিবর্তন করেছে, যেমন “খেলা’, যেমন ‘এক” । জেলাভেদে এই একারের উচ্চারণ একেবারে বিপরীত হয় । তেল মেঘ পেট লেজ— শব্দে তার প্রমাণ আছে। পূর্বেই দেখিয়েছি আল্লা এবং বাংলা অ স্বরবর্ণ সম্বন্ধে ইকার এবং উকারের ব্যবহার আধুনিক খবরের কাগজের ভাষায় যাকে বলে চাঞ্চল্যজনক, অর্থাৎ এরা সর্বদা অপঘাত ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু এদের অস্থগত একারের প্রতি এরা সদয় । ‘এক কিংবা ‘একটা’ শব্দের এ গেছে বেঁকে, কিন্তু উ তাকে রক্ষণ করেছে ‘একুশ" শব্দে । রক্ষা করবার শক্তি আকারের নেই, তার প্রমাণ এগারো’ শব্দে। আমরা দেখিয়েছি ন'এর পূর্বে অ হয়ে যায় ও, যেমন’ ‘ধন’ ‘মন’ শৰে । ঐ ন একারের বিকৃতি ঘটায় : ফেন লেন কেন ধেন। ইকারের পক্ষপাত আছে একারের প্রতি, তার প্রমাণ দিতে পারি। "লিখন' BB BBBB SBBBS BBB S SBBBS BB SBBS BB SBBBS BBB ‘দ্যাখা’, ‘বেচন’ থেকে ‘ব্যাচা', 'হেলন’ থেকে ‘হালা’ ৷ অসমাপিকা ক্রিয়ার মধ্যে এদের বিশেষ রূপগ্রহণের মূল পাওয়া যায়, যেমন : লিখিয়া-লেখা (পূর্ববঙ্গে ‘ল্যাখ্য' ), গিলিয়া — গেলা। কিন্তু : খেলিয়া – খ্যালা, বেচিয়া = ব্যাচ । মিলন অর্থে আর-একটা শব্দ আছে "মেলন, তার থেকে হয়েছে ‘ম্যালা', আর মিলন' থেকে হয়েছে ‘মেলা’ ( মিলিত হওয়া ) । ষ ফলায় আকার না থাকলেও বাংলায় তার উচ্চারণ অ্যাকার, যেমন ‘ব্যয়’ শব্দে । এটা হল আস্তক্ষরে। অন্যত্র ব্যঞ্জন বর্ণের দ্বিত্ব ঘটায়, যেমন সভা’। পূর্বে বলেছি ইকারের প্রতি একারের টান। ‘ব্যক্তি' শব্দের ইকার প্রথম বর্ণে দেয় একার বসিয়ে, ‘ব্যক্তি’ শব্দ হয়ে যায় ‘বেক্তি’ । হ’এর সঙ্গে ব ফলা যুক্ত হলে কোথা থেকে জ'এ-ঝ'এ জটলা ক’রে হয়ে দাড়ায় ‘সোজবো’। অথচ 'সহ' শব্দটাকে বাঙালি তৎসম বলতে কুষ্ঠিত হয় না। বানানের ছদ্মবেশ ঘুচিয়ে দিলেই দেখা যাবে, বাংলায় তৎসম শৰ নেই বললেই হয়। এমনকি কোনো নতুন সংস্কৃত শৰ আমদানি করলে বাংলার