পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় 880 ংলায় ছুটে ক্রিয়াপদ জুড়ে ক্রিয়াবিশেষণ গড়ার একটা রীতি আছে। তাতে যে ইঙ্গিতের ভাষা তৈরি হয়েছে তার ভাবপ্রকাশের শক্তি অসাধারণ। সামান্ত এই কথাটা রয়ে বসে কাজ করা" বা বলে তা কোনো বাধা সংস্কৃত শব্দে বলাই যায় না। ‘উঠেপ’ড়ে উঠেহেঁটে কিংবা ‘নেচেক্টদে’ বেড়ানোতে ফুর্তি প্রকাশ পায় সেটার ঠিক উপযুক্ত শৰ অভিধানে খুঁজে পাওয়া যায় না। এদের স্বজাতীয় শৰ : তেড়েফুড়ে কেটেছেটে বেঁচেবর্তে রয়েসয়ে ছেলেখেলে। এমন আরও বিস্তর আছে । অনেক স্থলে ঐ জোড়া শব্দের দুটিতে অর্থের সাম্য থাকে না । বন্ধত ওগুলো শব্দযোজনার একরকম খেপামি । "বেয়েছেয়ে দেখা’য় যা বলা হচ্ছে তার সঙ্গে বাওয়া এবং ছাওয়ার কোনো সম্পর্কই নেই । যখন বলি “নেড়েচেড়ে দেখতে হবে" তখন 'নেড়ে' শব্দের সহচরটিকে ব্যবহার করা হয় অর্থহীন বাটখারার মতো ওজন ভারী করবার জন্তে । চেয়েচিত্তে কেঁদেকেটে : এরা আছে অনুপ্রালের গাঠ বাধার কাজে । এঁটেসেঁটে খেটেপুটে খেয়েদেয়ে ঠেলেঠলে ; এরা ধ্বনির পুনরাবৃত্তিতে মনকে ঠেলে দেবার কাজ করে। আর-একরকম ক্রিয়াবিশেষণ আছে পদকে ছনো করে দিয়ে । যেমন, ‘জর হবে হবে' কিংবা 'জর জর করছে । মনটা ‘পালাই পালাই’ করে। এর মধ্যে খানিকট অনিশ্চয়তা অর্থাং হওয়ার কাছাকাছি ভাব আছে । "লড়াই লড়াই খেলা’ সত্যিকার লড়াই নয় কিন্তু যেন লড়াই । ‘হতে হতে হল না’ অর্থাং হতে গিয়ে হল না । এতে যেমন জোর কমায়, আবার কোনো স্থলে জোর বাড়ায় : দেখতে দেখতে জল বেড়ে গেল, হাতে হাতে ফল পাওয়া । সরে সরে যাওয়া, চলে চলে ক্লাস্ত, কেঁদে কেঁদে চোখ লাল, পিছু পিছু চলা, কাছে কাছে থাকা : এই দ্বিত্বে নিরস্তরতার ভাব পাওয়া যায়, কিন্তু একটানা নিরস্তরতা নয়, এর মধ্যে একটা বারংবারত্ব আছে। ‘পাতেপাতেই মাছের মুড়ো দেওয়া হয়েছে বললে মনে হয় সেটা যেন একে একে পরে পরে গণনীয় । ‘পাথরটা পড়ি পড়ি করছে", কোনো কালেই হয়তো পড়বে না, কিন্তু প্রত্যেক মুহূর্তে বারে বারে তার ভাবখানা পড়বার মতো । ‘আপনি আপনিই তিনি বকে যাচ্ছেন' বললে কেবল ষে স্বগত বক বোঝায় তা নয়, বোঝায় পুনঃ পুনঃ বক। এরকম ভাবব্যঞ্জনা কোনো স্পষ্টার্থক বিশেষণের দ্বারা সম্ভব নয়। এ যেন সিনেমায় ছবি নেওয়ার প্রণালীতে পুনঃ পুনঃ অস্থভূতির সমষ্টি । बिम्बाब्र विप्लवप्न जर्षशैन क्षनि गचरक बांश्णा भचउरु दहेषांनिटाउ चानक मृडेखि দেখিয়েছি, যেমন : ফল ক’রে, চট্‌ ক’রে, ধুপ, ক’ল্পে, ধা ক'রে, সে ক’রে, ট্যাচ ক’রে দেওয়া, গ্যাট হয়ে বসা, চিপ করে প্রণাম করা । এদের কোনো শৰাই সার্থক নয়, অথচ অর্থবান শব্দের চেয়ে এরা স্পষ্ট করে মনে রেখাপাত করে। কী বা করছে রোদঘর, ধু ধু