পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 রবীন্দ্র-রচনাবলী করছে মাঠ, থই থই করছে জল ; এরা এক আঁচড়ের ছবি । শারীরিক বেদনাগুলি ইংরেজি ভাষায় অর্থবান শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়, যেমন : throbbing cutting gnawing pricking restfit own &nfo onfo ভিন্ন ভিন্ন শব্দ বাংলা ভাষায় নেই। বাংলার আছে ধ্বনি দক্‌দৰ ঝনঝন টনটন DDDD DD DDDD BBBBBB BBB BBBB BB BBS BBBBS BB ধ্বনিগুলির সঙ্গে অস্থভূতির কোনোই শব্দগত সাদৃপ্ত নেই, তবু এই নিরর্থক শব্দগুলির দ্বারা অনুভূতির যেমন স্পষ্ট ধারণা হয় এমন আর কিছুতেই হতে পারে না । বাংলা ক্রিয়াপদে আর-এক বিশেষত্ব আছে দুটো ক্রিয়ার জোড় দেওয়া, তাদের মধ্যে অর্থের সংগতি না থাকলেও, যেমন : হয়ে যাওয়া, হয়ে পড়া, হতে থাকা, হয়ে ওঠা ; করে যাওয়া, করে ফেলা, করে তোলা, করে দেওয়া, করে চলা, করে ওঠা, করতে থাকা । হয়ে পড়া, করে ফেলা 'র ভাবটা একই ; একটা অক্রিয়, একটা সক্রিয়। আর-একরকম আছে বিশেষের সঙ্গে ক্রিয়ার কিংবা দুই ক্রিয়ার অসংগত যোগ, যেমন : মার খাওয়া, উঠে পড়া, গাল দেওয়া, বলে যাওয়া, ঘুরে মরা, গিয়ে পড়া, খেয়ে বঁচি, নেড়ে দেওয়া । సివి ক্রিয়াপদে দ্ব রকমের অহঙ্কা আছে। এক, উপস্থিত ব্যক্তিকে আমুরোধ বা আদেশ করা । আর, উপস্থিত বা অনুপস্থিত কারও সম্বন্ধে ইচ্ছা প্রকাশ করা, যেমন

  • ও করুক’ ।

হোক যাক চলুক বা করুক প্রভৃতি শব্দগুলিতে ক প্রত্যয় পুরোনো ভাষায় সর্বত্র প্রচলিত ছিল না, যথা : জাউ, মন্দ পবন বহু, উদিত হউ চন্দা, মউরগণ নাদ করু। পূর্বেই বলেছি বাংলা ভাষার প্রধান লক্ষণ, তার ভঙ্গীর প্রাবল্য। উপরোক্ত শ্রেণীর ক্রিয়াপদে একটা অনর্থক গে শব্দের যোগে যে ইঙ্গিত প্রকাশ করা হয় লেটা সহজ শব্দের দ্বারা হয় না, যথা : হোকগে করুকগে মক্ষকগে । এতে ঔদাসীন্তে ও ক্ষোভে জড়িয়ে ষে ভাবটা ব্যক্ত করে সেটা অন্ত ভাষায় সহজে বলা যায় না। কেননা গে শব্দের কোনো অর্থ নেই, ওটা একটা মুদ্রা । ‘হোকগে’ শব্দের ইংরেজি তর্জমা *Hrvs uzo zostw Ex : Let it happen, I don't care i sa Mzw "gste যেমন যদি যোগ করা যায় তা হলে ভঙ্গিমা আরও প্রবল হয়ে ওঠে । ইংরেজি বাক্যে www są więfrif wth : Oh let it be, don't bother i çifçin şoim ar