পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 o ब्रदौट्झ-ब्रफ़नांदली সংস্কৃত ‘ভোঃ' শব্দের মতো এর বহুল ব্যবহার নেই। ই গো, না গো : মুখের কথায় চলে ; মেয়েদের মুখেই বেশি । ভয় কিংবা ঘৃণা-প্রকাশে "মা গো’। ‘বাবা গো শুধু ভয়-প্রকাশে । শোনো’ শব্দের প্রতি "গো" যোগ দিয়ে অনুরোধে মিনতির স্বর লাগানো যায় । ‘কী গো’ "কেন গো' শব্দে বিদ্ধপ চলে : কেন গো, এত রাগ কেন ; কেন গো, তোমার যে দেখি গাছে কঁঠাল গোফে তেল ; কী গো, এত রাগ কেন গো মশায় ; কী গো, হল কী তোমার । ভয় বা দুঃখ -প্রকাশে মেয়েদের মুখে কী হবে গো', কিংবা আমুনয়ে ‘এক ফেলে যেয়ো না গো” । "হাগা’ "কেনে গা' গ্রাম্য ভাষায় । শুধু ‘হে শস্ব আহবান অর্থে সাহিত্যেই আছে। মুখের কথায় চলে "ওহে । কিংবা প্রশ্নের ভাবে : কে হে, কেন হে, কী হে । অনুজ্ঞায় "চলো হে’ । মাননীয়দের সম্বন্ধে এই 'ওহের ব্যবহার নেই । ‘তুমি’ তোমার’ সঙ্গেই এর চল, ‘আপনি বা ‘তুই’ শব্দের সঙ্গে নয় । ‘রে’ শব্দ অসম্মানে কিংবা স্নেহপ্রকাশে ; ই রে, কেন রে, ওরে বেটা ভূত, ওরে হতভাগা, ওরে সর্বনেশে। এর সম্বন্ধ ‘তুই’ ‘তোরা’র সঙ্গে । ‘লো’ লা মেয়েদের মুখের সম্বোধন । এও ‘তুই’ শব্দের যোগে । ভদ্রমহল থেকে ক্রমশ এর চলন গেছে উঠে । অব্যয় শব্দ আরও অনেক আছে, কিন্তু এইখানেই শেষ করা যাক । २७ ভাষার প্রকৃতির মধ্যে একটা গৃহিণীপনা আছে। নতুন শব্দ বানাবার সময় অনেক স্থলেই একই শব্দে কিছু মালমসলা যোগ ক’রে কিংবা দুটো-তিনটে শব্দ পাশাপাশি অঁাট করে দিয়ে তাদের বিশেষ ব্যবহারে লাগিয়ে দেয়, নইলে তার ভাণ্ডারে জায়গা হত না । এই কাজে সংস্কৃত ভাষার নৈপুণ্য অসাধারণ। ব্যবস্থাবন্ধনের নিয়মে তার মতো সতর্কতা দেখা যায় না। বাংলা ভাষায় নিয়মের খবরদারি যথেষ্ট পাকা নয়, কিন্তু সেও কতকগুলো নির্মাণরীতি বানিয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলোকে সমাসের পর্যায়ে ফেলা যায়, যেমন : চটামেজাজ নাকিস্থর তোলাউকুন ভোলামন । এগুলো হল বিশেষ-বিশেষণের জোড়। বিশেষণগুলোও ক্রিয়াপদকে প্রত্যয়ের শান দিয়ে বসানো । সেও একটা মিতব্যয়িতার কৌশল। বদমেজাজি ভালোমামৃষি তিনমহল, এগারোহাতি (শাড়ি) : এখানে জোড়া শব্দের শেষ অংশীদারের পিঠে ইকারের আকারের ছাপ লাগিয়ে দিয়ে তাকে এক শ্রেণীর বিশেষ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে আর-এক শ্রেণীর বিশেন্তে। অবশেষে সেই বিশেষের