পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় o 8&S গোড়ার দিকে বিশেষণ যোগ ক’রে তাকে বিশেষত্ব দিয়েছে। অবিকৃত বিশেষ্যবিশেষণের মিলন ঘটানো হয়েছে সহজেই ; তার দৃষ্টান্ত অনাবগুক । বিশেষ্ঠের সঙ্গে বিশেষ্য গেঁথে সংস্কৃত বহুব্রীহি মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ের মতো এক-একটা বাক্যাংশকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যেমন পুজোবাড়ি', অর্থাৎ পুজো হচ্ছে যে বাড়িতে সেই বাড়ি । কাঠকয়লা : কাঠ পুড়িয়ে ৰে কয়লা হয় সেই কয়লা । হাটুজল : হাটু পর্যন্ত গভীর ঘে জল সেই জল। মার্টকোঠা : মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে যে কোঠা । দুই বিশেষণের যোগে যে সমাস তারও গ্রন্থি ছাড়িয়ে দিলে অর্থের ব্যাখ্যা বিস্তৃত হয়ে পড়ে ; যেমন : কাচামিঠে : র্কাচ তবুও মিষ্টি। বাদশাহি-কুঁড়ে ; বাদশার সমতুল্য তার কুঁড়েমি। সেয়ান-বোকা : লোকটাকে বোকার মতো দেখায় কিন্তু আসলে সেয়ানা । বিশেষ এবং ক্রিয়া থেকে বিশেষণ-করা শব্দের যোগ, যেমন : পটলচেরা : অর্থাৎ পটল চিরলে যে গড়ন পাওয়া যায় সেই গড়নের। কাঠঠোকরা : কাঠে যে ঠোকর মারে । চুলচেরা : চুল চিরলে সে যত স্বল্প হয় তত স্বল্প। தி কিন্তু শব্দরচনায় বাংলা ভাষার নিজের বিশেষত্ব আছে, তার আলোচনা করা शांक । 聽 বাংলা ভাওয়ালা ভাষা। ভাবপ্রকাশের এরকম সাহিত্যিক রীতি অন্ত কোনো ভাষায় আমার জানা নেই। অর্থহীন ধ্বনিসমবায়ে শব্দরচনার দিকে এই ভাষায় যে কোক আছে তার আলোচনা পূর্বেই করেছি। আমাদের বোধশক্তি যে শব্দার্থজালে ধরা দিতে চায় না বাংলা ভাষা তাকে সেই অর্থের বন্ধন থেকে ছাড়া দিতে কুষ্ঠিত হয় নি, আভিধানিক শাসনকে লঙ্ঘন ক'রে লে বোবার প্রকাশ-প্রণালীকেও অঙ্গীকার করে নিয়েছে। ধ্বস্তাত্মক শব্দগুলিতে তার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছি। পোকা কিলবিল করছে : এ বাক্যের ভাবটা ছবিটা কোনো স্পষ্ট ভাষায় বলা যায় না। খিটখিটে' শব্দের প্রতিশব্দ #sofors wice irritable, peevish, pettish ; fou früftü’ to Mos এমন তার জোর নেই। নেশায় চুরচুর হওয়া, কট্‌মচ্‌ ক’রে তাকানো, ধপাস ক’রে পড়া, পা টন টন করা, গা ম্যাজ ম্যাজ করা : ঠিক এ-সব শব্দের ভাব বোঝানো ধাতুপ্রত্যয়ওয়ালা ভাষার কর্ম নয়। Retsfērs stri creeping sensation, বাংলায় বলে ‘গা ছমছম করা ; আমার তো মনে হয় বাংলারই জিত। গুটিকয়েক .রঙের বোধকে ধ্বনি দিয়ে প্রকাশ করায় বাংলা ভাষার একটা আকুতি দেখতে পাওয়া DDS DDBBS DDBS BBBBB BBS DDBBS BBBBS BBB BBS মিলমিলে, কুচ কুচে কালো। fy