পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় - 8ማ¢ ইহাও আমরা প্রতিদিন দেখিয়াছি, তাহারা নিজের নীচতাকে উদ্ধত কপটতার দ্বারা গোপন করিয়াছে ও পরজাতীয়ের মাহাত্মাকে অন্ধতা ও অহংকারের দ্বারা অস্বীকার করিয়াছে। এই কারণেই আমাদের সেই ক্ষতবেদনা লইয়া রোপের সত্যকে দেখিতে ও তাহাকে গ্রহণ করিতে আমরা অন্তরের মধ্যে বাধা পাইয়া থাকি । তাছাদের ধর্মকেও আমরা অবিশ্বাস করি ও তাছাদের সভ্যতাকে আমরা বস্তুজালজড়িত স্কুলপদাৰ্থ বলিয়া নিন্দা করিয়া থাকি। শুধু তাছাই নহে, আমাদের ভয় আছে, পাছে প্রবলের প্রবলতাকেই আমরা সত্যের আসন দিয়া তাহার পূজা করি ও তাহার কাছে ধূলিলুষ্ঠিত হইয়া আপনাকে অপবিত্ৰ করি ; পাছে অন্তের গৌরবকে নিজের গৌরবের সহিত গ্রহণ করিতে না পারি ; পাছে আত্ম-অবিশ্বাসের অবসাদে নিজের সত্যকে 7বসর্জন দিয়া অন্থকরণের শূন্ততার মধ্যে পরের কায়ার ছায়া ও পরের ধ্বনির প্রতিধ্বনি হইয়া জগৎ-সংসারে নিজেকে একেবারে ব্যর্থ করিয়া দিই ; পাছে এইরূপ একটা অদ্ভূত ভ্ৰম করিয়া বলি যে, অন্তকে স্বীকার করিতে গিয়া নিজেকে অস্বীকার করিয়া বলাই যথার্থ ঔদার্বের পন্থা । o এই-সমস্ত বিয়বিপদ আছে ; সেইজন্যই এই পথে সত্যসন্ধানের যাত্রা তীর্থযাত্রা । সমস্ত অসত্যকে উত্তীর্ণ হইয়াই চলিতে হইবে ; বাধার ছখেকে সহ করিয়াই অগ্রসর হইতে হুইবে ; আত্ম-অভিমানের ব্যর্থ বোকাকে পশ্চাতে ফেলিয়া যাইতে হইবে, অথচ আত্মগৌরবের পাথেয়কে একান্ত যত্নে রক্ষা করিয়া চলিতে হইবে । বস্তুত, অত্যন্ত বিয়ের দ্বারাই আমরা এই তীর্থযাত্রার পূর্ণ ফললাভের আশা করিতে পারি ; কারণ যাহা সহজে পাই তাহা সচেতন হইয়া গ্রহণ করি না ; অথচ কোনো মহৎ লাভের বখাৰ্থ সফলতাই চেতনার পূর্ণতর বিকাশ, অর্থাৎ, আমরা বাহ-কিছু সত্যভাবে লাভ করি তাহার দ্বারা আপনাকেই সভ্যতররূপে উপলব্ধি করি— তাহা যদি না করি, যদি বাহিরের বস্তকেই বাহিরে পাই, তবে তাহ মায়া, তাহা মিথ্যা। বোম্বাই শহর বোম্বাই শহরটার উপর একবার চোখ বুলাইফ আলিবার জন্য কাল বিকালে বাহির হইয়াছিলাম। প্রথম ছবিটা দেখিয়াই মনে হইল, ৰোম্বাই শহরের একটা বিশেষ চেহারা আছে। কলিকাতার কেন কোনো চেহারা নাই, সে যেন যেমন তেমন कब्रिब cबांफांठाफ़ क्बिा टेडब्रि इहेबांद्वह । **