পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৭

পথের সঞ্চয় d e:S চলার মুখে এ-সমস্ত জনাবগুক বোৰ নিশ্চয়ই বর্জন করিতাম এবং কেহ তাঁহাতে কিছু মনেও করিত না । , কিন্তু, য়ুরোপীয় বাষ্ট্ৰীদিগকে ঠাণ্ড রাখিবার জন্ত খেলা চাই। তাছাদের প্রাণের বেগের মধ্যে প্রাত্যহিক ব্যবহারের অতিরিক্ত মস্ত একটা পরিশিষ্ট ভাগ আছে, তাহাকে চুপ করিয়া বলাইয়া রাখিবে কে। তাহাকে নিয়ত ব্যাপৃত রাখা চাই। এইজন্য খেলনার পর খেলনা জোগাইতে হয় এবং খেলার পর খেলা স্বষ্টি করিয়া তাহাকে জুলাইয়া ब्रांथेfद्र @यं८ब्रांछन । তাই দেখি, ইহারা ছেলেবুড়ে কেবলই ছটফট এবং মাতামাতি করিতেছে। সেটা আমাদের পক্ষে একেবারেই অনাবশুক বলিয়া প্রথমটা কেমন অদ্ভূত ঠেকে। মনে ভাবি, বয়স্ক লোকের পক্ষে এ-সমস্ত ছেলেমান্থবি নিরর্থক অসংযমের পরিচয়মাত্র। ছেলেদের খেলার বয়স বলিয়াই খেলা তাহাদিগকে শোভা পায় ; কাজের বয়সে এতটা খেলার উৎসাহ অত্যন্ত অসংগত । কিন্তু, যখন নিশ্চয় বুঝিতে পারি যুরোপীয়ের পক্ষে এই চাঞ্চল্য এবং খেলার উন্মুম নিতান্তই স্বভাবসংগত, তখন ইহার একটি শোভনতা দেখিতে পাই । ইহা যেন বসন্তকালের অনাবগুক প্রাচুর্ষের মতো। যত ফল ধরিবে তাহার চেয়ে অনেক বেশি মুকুল ধরিয়াছে। কিন্তু, এই অনাবগুক ঐশ্বর্ধ না থাকিলে আবগুকে পদে পদে কৃপণতা ঘটিত । ইহাদের খেলার মধ্যে কিছুমাত্র লজ্জার বিষয় নাই । কেননা, এই খেলা অলসের কালযাপন নছে ; কেননা, আমরা দেখিয়াছি, ইহাদের প্রাণের শক্তি কেবলমাত্র খেলা করে না। কর্মক্ষেত্রে এই শক্তির নিরলস উচ্চম, ইহার অপ্রতিহত প্রভাব। কী আশ্চর্ষ ক্ষমতার সঙ্গে ইহারা সমস্ত পৃথিবী জুড়িয়া বিপুল কর্মজাল বিস্তার করিয়াছে তাছা ভাবিয়া দেখিলে স্তম্ভিত হইতে হয়। তাহার পশ্চাতে শরীর ও মনের কী অপরিমিত অধ্যবসায় নিযুক্ত। সেখানে কোথাও কিছুমাত্র জড়ত্ব নাই, শৈথিল্য নাই ; সতর্কতা সর্বদা জাগ্ৰত ; স্বযোগের তিলমাত্র অপব্যয় দেখা যায় না । যে শক্তি কর্মের উদ্যোগে আপনাকে সর্বদা প্রবাহিত করিতেছে সেই শক্তিই খেলার চাঞ্চল্যে আপনাকে তরঙ্গিত করিতেছে। শক্তির এই প্রাচুর্ধকে বিজের মতো অবজ্ঞা করিতে পারি না। ইহাই মানুষের ঐশ্বর্ধকে নব নব স্বষ্টির মধ্যে বিস্তার করিয়া চলিয়াছে। ইহা নিজেকে দিকে দিকে অনায়ালে অজস্র ত্যাগ করিতেছে, সেইজন্তই নিজেকে বহুগুণে ফিরিয়া পাইতেছে। ইহাই সাম্রাজ্যে বাণিজ্যে বিজ্ঞানে সাহিত্যে কোথাও কোনো সীমা মানিতেছে না, স্থলন্ডের রুদ্ধ দ্বারে অহোরাজ প্রবল বেগে আঘাত করিতেছে। 确