পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় t &రి করিতে চাই তাহাকে তাহার নিজের নির্ষে ভালো হইতে দিতে আমরা সাহল করি না। এমনি করিয়া দুর্বলতাকে আমরা অস্থিমজার মধ্যে পোষণ করিতে থাকি, অথচ লবলের অধিকারকে আমরা বাহিরের দিক হইতে স্বপ্নলব্ধ দৈবসম্পত্তির মতো লাভ করিতে চাই । s*i এইজন্যই পরম বেদনার সহিত দেখিতেছি, যেখানেই আমরা সম্মিলিত হইয়া কোনো কাজ করিতে গিয়াছি, যেখানেই নিজেদের নিয়মের দ্বারা নিজেদের কোনো প্রতিষ্ঠানকে চালনা করিবার সুযোগ পাইয়াছি, সেখানেই পদে পদে বিচ্ছেদ ও শৈথিল্য প্রবেশ করিয়া সমস্ত ছারখার করিয়া দিতেছে । বাহিরের কোনো শক্রর হাত হইতে নহে, কিন্তু অস্তরের এই শক্তিহীনতা ঐহীনতা হইতে আপনাদিগকে রক্ষণ করা, ইহাই আমাদের একটিমাত্র সমস্ত । যে নিয়ম মাহুষের গলার হার তাছাকে পায়ের বেড়ি করিয়া পরিব না, এই কথা একদিন আমাদিগকে সমস্ত মনের সঙ্গে বলিতে হইবে । এই কথা স্পষ্ট করিয়া জানিতে হইবে যে, সত্যকে যেমন করিয়া হউক মানিতেই হইবে— কিন্তু সত্যকে যখন অন্তরের মধ্যে মানি তখনি তাহা জানন্দ, বাহিরে ধখন মানি তখনি তাহা দুঃখ । অস্তরে সত্যকে মানিবার শক্তি যখন না থাকে তখনি বাহিরে তাহার শাসন প্রবল হইয়া উঠে। সেজন্ত যেন বাহিরকেই ধিকার দিয়া নিজেকে অপরাধ হইতে নিষ্কৃতি দিবার চেষ্টা না করি। লণ্ডনে সমূত্রের পালা শেষ হইল। শেষ দুই দিন প্রবল বেগে বাতাস উঠিল ; তাহাতে সমূত্রের জাম্বোলনের সমতালে আমাদের আভ্যন্তরিক আলোড়ন চলিতে লাগিল । আমি ভাবিয়া দেখিলাম, ইহাতে সমূত্রের অপরাধ নাই, কাথেনেরই দোষ। যেদিন পৌঁছিবার কথা ছিল তাহার দুই দিন পরে পৌঁছিয়াছি। বরুণদেব নিশ্চয়ই এই দুর্বলান্ত:করণ যাত্ৰীটির জন্ত ঠিকমত ছিলাৰ করিয়া বড়-বাতাসের ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছিলেন– কিন্তু, মাছষের ছিলাব ঠিক রছিল না। । মার্গেল হইতে এক দৌড়ে পারিসে জালির এক দিনের মতো ছাপ ছাড়িলাম। শরীর হইতে সমূত্রের নিমক সাফ করিয়া ফেলিছ ভাঙার হাতে আত্মসমর্পণ করিলাম। জানাহারের পর একটা মোটরগাড়িতে চড়িা পারিসের রাস্তা রাস্তান একবার বন্ধ কৰি ঘূৰি আগিলাৰ। :