পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় i* ¢›ጫ তাকাইয়া, টুপিটা মাথার চাপিয়া দিয়া, হন হন করিয়া চলিয়া বাইতেছে ; ঘর শূন্ত হইতেছে। কেবল জাহারের সময় বারকয়েক কয়েকজন মাহুৰ একত্র হয়, তাহার পরে কে কোথায় যায় কেহ তাহার ঠিকানা রাখে না। আমার কোনো প্রয়োজন নাই ; সকলের দেখাদেখি মিথ্যা এক-একবার ঘড়ি খুলিয়া দেখি, আবার ঘড়ি বদ্ধ করিয়া পকেটে রাখি । যখন আহারেরও সময় নয়, নিষ্কারও সময় নহে, তখন হোটেল যেন ডাঙায় বাধা নৌকার মতে— তখন যদি সেখানে থাকিতে হয় তবে কেন যে আছি তাহার কোনো কৈফিয়ত ভাবিয়া পাওয়া যায় না। যাহাজের বাসস্থান নাই, কেবল কর্মস্থানই আছে, তাছাদেরই পক্ষে হোটেল মানায়। যাহারা আমার মতো নিতান্ত অনাবশুক লোক তাহদের পক্ষে বাসের আয়োজনটা এমনতরো পাইকারি রকমের হইলে পোষায় না । জানলা খুলিয়া দেখি, জনস্রোত নানা দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে। মনে মনে ভাবি, ইহারা যেন কোন এক অদৃগু কারিগরের হাতুড়ি। যে জিনিসটা গড়িয়া উঠিতেছে সেটাও মোটের উপর অদৃগু ; মস্ত একটা ইতিহাসের কারখানা ; লক্ষ লক্ষ হাতুড়ি দ্রুত প্রবল বেগে লক্ষ লক্ষ জায়গায় আসিয়া পড়িতেছে। আমি সেই এঞ্জিনের বাহিরে দাড়াইয়া চাহিয়া থাকি— ক্ষুধার টমে চালিত সজীব হাতুড়িগুলা দুনিবার বেগে ছুটিতেছে, ইহাই দেখিতে পাই । যাহারা বিদেশী, প্রথম এখানে আসিয়া এখানকার ইতিহাসবিধাতার এই অতিবিপুল মানুষ-কলের চেহারাটাই তাহাদের চোখে পড়ে। কী দাহ, কী শৰ, কী চাকার ঘূর্ণি। এই লওন শহরের সমস্ত গতি, সমস্ত কর্মকে একবার চোখ বুজিয়া ভাবিয়া দেখিতে চেষ্টা করি— কী ভয়ঙ্কর অধ্যবসায়। এই অবিশ্রাম বেগ কোন লক্ষ্যের অভিমূখে আঘাত করিতেছে এবং কোন অব্যক্তকে প্রকাশের অভিমুখে জাগাইয়া তুলিতেছে। 嘯 কিন্তু, মানুষকে কেবল এই যন্ত্রের দিক হইতে দেখিয়া তো দিন কাটে না । যেখানে লে মানুষ লেখানে তাহার পরিচয় না পাইলে কী করিতে আসিলাম ! কিন্তু, মানুষ যেখানে কল সেখানে দৃষ্টি পড়া যত সহজ, মানুষ যেখানে মানুষ সেখানে তত সহজ নহে। ভিতরকার মানুষ আপনি আসিম্বা সেখানে ভাকিয়া না লইয়া গেলে প্রবেশ পাওয়া যায় না। কিন্তু, সে তো থিয়েটারের টিকিট কেনার মতো নছে ; লে দাম দিয়া মেলে না, লে বিনা মূল্যের জিনিল । জামার সৌভাগ্যক্রমে একটি স্বৰোগ ঘটিা গেল— আমি একজন বন্ধু’র দেখা » छेहेलिब्रव cब्रांप्छेन्नॊोरेन (William Rothenstein )