পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৭

পথের সঞ্চয় & So করিয়া দেখা যায় না, সেখানে বাপ যেমন ছোটো ছেলেকে নিজের কাধের উপর চড়িয়া বসিবার জাগা করিা দেন, তেমনি লওন শহর দুই-এক জায়গায় আপনার উচ্চ কাধের উপর ফাকা জায়গা রাখিয়া দিয়াছে ; তাহার যে-সৰ ছেলেরা ভিড়ের লোকের মাথা ছাড়াইয়া আরও দূরের দিকে দৃষ্ট প্রসারিত করিতে চায় তাহদের পক্ষে এই জায়গাগুলির বিশেষ প্রয়োজন আছে। লণ্ডনের হাস্পস্টেড-হীখ, সেই জাতের একটি উচ্চ পাহাড়ে প্রান্তর , লণ্ডন এইখানে আপনার হইতে আপনাকে যেন তুলিয়া ধরিয়াছে। এখানে শহরের পাষাণহৃদয়ের একটি প্রান্ত এখনো নবীন ও গুমিল আছে, এবং তাহার ভয়ংকর জাপিসের ভিড়ের মধ্যে এই জায়গাটিতে এখনো তাহার খোলা আকাশের জানলার ধারে একলা বলিবার আসন পাতা আছে । আমার বন্ধুর বাড়িটির পিছন দিকে ঢালু পাহাড়ের গায়ে ছোটো একটুকরা বাগান আছে। ঐটুকু বাগান আনন্দিত ছোটো ছেলের আঁচলটির মতো ফুলের সৌন্দৰে ভরিয়া উঠিয়াছে। সেই বাগানের দিকে মুখ করিয়া তাছাদের বৈঠকখানা-ঘরের সংলগ্ন একটি লম্বা বারান্দা অপৰ্যাপ্ত ফুলের স্তবকে জামোদিত গোলাপের লতায় অর্ধপ্রচ্ছন্ন হইয়া আছে। এই বারান্দায় আমি যখন খুশি একখানা বই হাতে করিয়া বসি, তাহার পরে আর বই পড়িবার কোনো প্রয়োজন বোধ করি না। ইহার দুটি ছোটো ছেলে ও ছোটো মেয়ের মধ্যে বাল্যবয়সের চিরানন্দময় নবীনতার উচ্ছ্বাস দেখিতে আমার ভারি ভালো লাগে । আমাদের দেশের ছেলেদের সঙ্গে ইহাদের আমি একটা গভীর প্রভেদ দেখিতে পাই । আমার মনে হয়, যেন আমরা অত্যন্ত পুরাতন যুগের মাহুৰ ; আমাদের দেশের শিশুরাও যেন কোথা হইতে সেই পুরাতনত্বের বোৰ পিঠে করিয়া এই পৃথিবীতে আসিয়া উপস্থিত হয়। তাহারা ভালোমাছুয, তাহাজের গতিবিধি সংযত, তাহাদের বড়ো বড়ো কালো চোখদুটি করুণ— তাহারা বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না, আপনার মনেই যেন তাহার মীমাংসা করিতে থাকে। আর এই সব ছেলেরা পৃথিবীর নবীনযুগের মহলে জন্সিয়াছে তাহারা জীবনের নবীনতার আস্বাদে মাতিয়া উঠিয়াছে তাহাজের সমস্তই ভাবিয়া-চিন্ডিয়া করিয়া-কমিয়া লইতে হইবে, এইজন্ট সৰ জায়গাতেই তাহাজের চঞ্চল পা ছুটিতে চায় এবং সকল জিনিসেই তাহাজের চঞ্চল হাত গিয়া পড়ে। আমাদের দেশের ছেলেদেরও একটা স্বাভাবিক চঞ্চলতা আছে সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহার সঙ্গে সঙ্গেই একটা জচঞ্চলতার ভারাকর্ষণ তাছাকে সর্বদাই কেন অনেকটা পরিমাণে স্থির করিয়া ब्राषिबाप्रु । हेशप्नब बटश गहे चद्ठ छांबई मारे बनिश ऐशरश्ब्र शैक्न उक्न বারনার মতো কলশৰে মৃত্য করিতে করিতে কেবলই যেন ঝিকমিক্‌ করিয়া উঠিতেছে।