পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় . 48 مما& এই জগৎকে স্পর্শ করিতেছেন ; চোখের দ্বারা জ্ঞানের দ্বারা নহে। এইজন্য জগৎকে ठिनि ८कयण दखजगं९ क्ल८- ८नtर्षन ना ? हेशंब्र नंवरच् ●थांख८ब्र हेनि ७बन ७क,ि লীলাময় সত্তাকে জহুভব করেন বাহা ধ্যানের দ্বারাই গম্য। আধুনিক সাহিত্যে অভ্যস্ত। প্রণালীর মধ্য দিয়া তাহাকে প্রকাশ করিতে গেলে তাহার রস ও প্রাণ নষ্ট হইয়া যায় ; কারণ, আধুনিকতা জিনিসটা আসলে নবীন নছে, তাহা জীৰ্ণ ; সর্বদা ব্যবহারে তাহাতে কড়া পড়িয়া গেছে, সর্বত্র তাহা সাড়া দেয় না ; তাহা ছাই-চাপা আগুনের মতে । এই আগুন জিনিসটা ছাইয়ের চেয়ে পুরাতন অথচ তাহ নবীন ; ছাইট আধুনিক বটে কিন্তু তাহাই জরা। এইজন্ত সর্বত্রই দেখিতে পাই, কাব্য আধুনিক ভাষাকে পাশ কাটাইয়া চলিতে চায় । সকলেই জানেন, কিছুকাল হইতে আয়লণ্ডে একটা স্বাদেশিকতার বেদন জাগিয়া উঠিয়াছে। ইংলগুের শাসন সকল দিক হইতেই আয়লণ্ডের চিত্তকে অত্যস্ত চাপ দিয়াছিল বলিয়াই এই বেদন এক সময়ে এমন প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। অনেক দিন হইতে এই বেদনা প্রধানত পোলিটিকাল বিজোছ-রূপেই আপনাকে প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিয়াছে। অবশেবে তাহার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটা চেষ্টা দেখা দিল। আয়লণ্ড, আপনার চিত্তের স্বাতন্ত্র্য উপলব্ধি করিয়া তাহাই প্রকাশ করিতে উচ্চত হইল । এই উপলক্ষ্যে আমাদের নিজের দেশের কথা মনে পড়ে। আমাদের দেশেও অনেক দিন হইতে পোলিটিকাল অধিকার-লাভের একটা চেষ্টা শিক্ষিতমণ্ডলীর মধ্যে প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। দেখা গিয়াছে, এই চেষ্টার র্যাহারা নেতা ছিলেন তাহাদের অনেকেরই দেশের ভাষাসাহিত্য-জাচারব্যবহারের সহিত সংস্রব ছিল না। দেশের জনসাধারণের সঙ্গে তাহাদের যোগ ছিল না বলিলেই হয় । দেশের উন্নতিসাধনের জন্ত তাহাজের বাহ-কিছু কারবার সমস্তই ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজি গবৰ্মেন্টের সঙ্গে। দেশের লোককে লইয়া ষে দেশের কোনো কাজ করিতে হইবে, লে দিকে তাহাদের দৃষ্টমাত্রই ছিল না। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত বাংলাদেশে, আমরা সাহিত্যের ভিতর দিয়া নিজের চিত্তকে উপলব্ধি করিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রধান গৌরব এই যে, তিনি বঙ্গসাহিত্যে এমন একটি যুগের প্রবর্তন করিয়াছিলেন যখন বাঙালি আপনার কথা আপনার ভাষায় বলিয়া আনন্ম ও গর্ব আহুভব করিতে পারিয়াছিল। তাহার আগে আমরা স্কুলের বালক ছিলাম ; অভিধান ও ব্যাকরণ মিলাইয়া ইংরেজি ইস্কুলের এক্সেরলাইজ লিখিতাম ; নিজের ভাষা ও সাহিত্যকে অবজ্ঞা করিতাম। হঠাৎ বঙ্গদর্শনের জাবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে নিজের একটা ক্ষমতা দেখিতে পাইলাম। আমাদেরও যে একটা