পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২৬ ৷ রবীন্দ্র-রচনাবলী সাহিত্য হইতে পারে এবং তাছাতেই যে যথার্থভাবে আমাদের মনের ক্ষুধানিবৃত্তি করিতে পারে ইহা আমরা অনুভব করিলাম। এই-ষে শুরু হইল এইখানেই ইহার শেষ হইল না। ইহার আগে চোখ বুজিয়া আমরা বলিয়াছিলাম, আমাদের কিছুই নাই ; এখন হইতে খোজ পড়িয়া গেল আমাদের কী আছে। বঙ্গদর্শনেই গোড়ার দিকে র্যাহারা কং ও মিলকে সিংহাসনে বসাইয়াছিলেন তাহারাই অবশেষে দেশের ধর্মকেই সেই রাজাসন দিবার জন্ত দলে-বলে উদ্যোগ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। এই উদ্যমের স্রোত নানা শাখা-প্রশাখায় এখনো অগ্রসর হইতেছে। রাজসভায় ভারতবর্ষীয় অমাত্যসংখ্যা বাড়াইতে হইবে, আমাদের এ ইচ্ছা সাধন হওয়া রাজার হাতে ; কিন্তু আমাদের মন স্বাধীন হইয়া আপনার পথে আপন সফলতার অভিমুখে অগ্রসর হইবে, এই ইচ্ছা সফল হওয়া আমাদের নিজের শক্তির উপর নির্ভর করে। আমরা যে-কেহ যে-কোনো দিকে নিজের চেষ্টায় নিজের শক্তিকে সার্থক করিতে পারিব, সেই লোকই দেশের জাত্মশক্তি-উপলব্ধিকে প্রশস্ত করিয়া দিব । সেই উপলব্ধির আনন্দই আমাদের উন্নতিপথযাত্রার একমাত্র সম্বল । இ শক্তি-উপলব্ধির গোড়ায় যে প্রবল অহংকার জাগিয়া উঠে তাহাতে সত্য-উপলদ্ধির যথেষ্ট ব্যাঘাত করে । তাহা আমাদের আপনাকে শিখাইবার চেয়ে আপনাকে জুলাইবার দিকেই বেশি ক্টোক দেয় । তাছা সঁচ্চিার সঙ্গে বুটাকে সমান মূল্য দিয়া সাচ্চাকে অপমানিত করে । সে এ কথা জুলিয়া যায় যে, কী আমার নাই এইটে স্বনির্দিষ্ট করিয়া জানার দ্বারাতেই কী আমার কাছে সেইটে স্বম্পষ্ট করিয়া জানা যায় । সেই স্বম্পষ্ট করিয়া জানাই আমাদের শক্তিলাভের একমাত্র পন্থা । জহংকার আত্মউপলব্ধির সীমাকে বাপলা করিয়া দিয়াই আমাদিগকে দুর্বলতা ও ব্যর্থতার দিকে লইয়া যায়। আত্মগৌরবের প্রতিষ্ঠা সত্যের উপর। স্বতরাং অহংকারের স্বারা তাহাকে কিছুতেই পাওয়া যায় না। সত্যের দুর্গপ্রাচীরে ঠেকিয়া ঠেকিয়া অহংকার যতই পরাস্ত হইতে থাকে ততই আমরা আপনাকে জানিতে থাকি । আমাদের দেশের মতো জাম্বলণ্ডেও আপনার চিত্তশক্তিকে স্বাতন্ত্রা দিবার জন্ত একটা উদ্যম কিছুকাল হইতে কাজ করিতেছে । সেই উত্তমের প্রথম প্রকাশের মধ্যে স্বভাবতই বিস্তর ফেনিলত দেখা দেয় ; তাহা অনেকসময় ওজন রাখিতে না পারিয়া অদ্ভূতরূপে হান্তকর হইয়া উঠে ; জায়গণ্ডেও ষে সেরূপ ঘটিয়াছিল তাহা আইরিশ forts answ wo, so Hail and Farewell-atow it from www.bi बूक बांब ।। # w 蟲。