পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় k r-ہ ہ අHථ মানবচিত্ত দিয়া আমাদের দেখে না, আমাদেরও পূর্ণ মানবপরিচয় তাহারা পায় না। এ অবস্থায় শাসনসংরক্ষণ কাজের ব্যবস্থা সমস্তই খুব পাকা হইতে পারে, কিন্তু তাহার চেয়ে বড়ো জিনিসটা নষ্ট হয়। কারণ, মঙ্গল তো শৃঙ্খলা নহে ; এবং মাছুষের কাছ হইতে কোনো ভালো জিনিল পাইলে সেই সঙ্গে যদি মানুষকেও না পাই তবে সে দান আমরা সমস্ত মনপ্রাণ দিয়া গ্রহণ করিতে পারি না ; স্বতরাং সে দান না দাতাকে ধন্ত করে, না গ্রহীতাকে পরিতৃপ্ত করিয়া তোলে । ইংলণ্ডের ভাবুকসমাজ বাহিরের ভিড়ের মধ্য হইতে আমি যেন অস্তরের ভিড়ের ভিতরে গিয়া প্রবেশ করিলাম, এইরূপ আমার মনে হইল। এ দেশের র্যাহারা লেখক, র্যাহারা চিস্তাশীল, তাহাদের সংস্রবে যতই আসিলাম ততই অনুভব করিতে লাগিলাম, ইহাদের চিস্তার পথে ভাবের ঠেলাঠেলি অত্যন্ত প্রবল । ইহাদের সমাজ সকলের শক্তিকে যে পূর্ণবেগে আকর্ষণ করিতেছে, বাহিরে লোকের ছুটাছুটি, মোটর-যানের ছড়াছড়িতে তাহা স্পষ্টই চোখে পড়ে। কাহারও সময় নাই ; তাড়াতাড়ি কাজ সারিতে হইবে ; এ সমাজ কাহাকেও পিছাইয়া পড়িয়া থাকিতে দিবে না ; যে একটু পিছাইয়া পড়িবে তাহাকেই হার মানিতে হইবে। এই সম্মুখে ছুটিবার ভয়ংকর ব্যগ্রতা যখন দেখি তখন মনে মনে ভাবি, সম্মুখে সে কে বসিয়া আছে। লে ডাক দেয় কিন্তু দেখা দেয় না। নীল সমূত্রের মতো বহুদূরে তাহার ঢেউয়ের উপর ঢেউ নিশিদিন হাত তুলিতেছে, কিন্তু কোথায় কোন পর্বতশিখরের গুহাগহবর হইতে ঝরনাগুলি পাগলের মতো ব্যস্ত হইয়া, ভাহিনে বঁায়ে মুড়ি পাথরগুলাকে কোনোমতে ঠেলিয়াইলিয়া, কাহাকেও কোনো ঠিকানা জিজ্ঞাসা না করিয়া, উর্ধ্বশ্বাসে ছটিয়া চলিয়াছে । 專 বাহিরের কাজের ক্ষেত্রে এই যেমন হাকাইকি দৌড়াদৌড়ি, চিন্তার ক্ষেত্রে ঠিক তেমনিই । কত হাজার হাজার লোক যে উর্ধ্বশ্বাসে চিন্তা করিয়া চলিয়াছে তাহার ঠিকানা নাই । দৈনিক কাগজে, সাপ্তাহিকে, মালিকে, ত্রৈমাসিকে, বক্তৃতাসভায়, শিক্ষণশালায়, পার্লামেন্টে, পুথিতে, চটিতে মনের ধারা অবিশ্রাম বহিয়া চলিয়াছে। মানসিক শক্তি যাহার ষে রকমের এবং যে পরিমাণে আছে তাহার সমস্তটার উপর টান •ब्रिाप्झ् । 'क्लोहे बाग्न७ क्राहे', cबरणब्र बर्षइन इहेप्ड ७हे ७को छोक गर्दना गङ्गि পৌছিতেছে। এত বড়ো একটা ডাকে কাহারও সবুর সহে না, ক্ষশকাল চুপ করিয়া