পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সঞ্চয় ¢ዓ© হউক, সকল দিকেই আমরা মায়কে চাই ; তাহার পরিবর্তে প্রণালীর বটিক গিলাইয়া কোনো কবিরাজ আমাদিগকে রক্ষা করিতে পরিবেন না। চ্যালফোর্ড, כלס ל istsט לס লক্ষ্য ও শিক্ষা আমার কোনো-এক বন্ধু’ ফলিত জ্যোতিব লইয়া আলোচনা করেন। তিনি একবার আমাকে বলিয়াছিলেন যে-সব মানুষ বিশেষ কিছুই নহে, যাহাঁদের জীবনে ই এবং না জিনিসটা খুব স্পষ্ট করিয়া দাগ নাই, জ্যোতিষের গণনা তাহাদের সম্বন্ধে ঠিক দিশ পায় না। তাহাদের সম্বন্ধে শুভগ্রহ ও অশুভগ্রহের ফল কী তাহা হিসাবের মধ্যে আনা কঠিন। বাতাস যখন জোরে বছে তখন পালের জাহাজ হুহু করিয়া দুই দিনের রাস্তা এক দিনে চলিয়া যাইবে, এ কথা বলিতে সময় লাগে না ; কিন্তু, কাগজের নৌকাটা এলোমেলো ঘুরিতে থাকিবে কি ডুবিয়া বাইবে, কি কী হইবে তাহা বলা যায় না— যাহার বিশেষ কোনো-একটা বন্দর নাই তাহার অতীতই বা কী আর ভবিষ্যৎই বা কী । সে কিসের জন্ত প্রতীক্ষণ করিবে, কিসের জন্ত নিজেকে প্রস্তুত করিবে । তাহার আশা-তাপমানযন্ত্রে দ্বরাশার উচ্চতম রেখা অন্ত দেশের নৈরাপ্তরেখার কাছাকাছি । আমাদের দেশের বর্তমান সমাজে এই অবস্থাটাই সবচেয়ে সাংঘাতিক অবস্থা । আমাদের জীবনে স্বম্পষ্টত নাই। আমরা যে কী হইতে পারি, কতদূর আশা করিতে পারি, তাহা বেশ মোট লাইনে বড়ো রেখায় দেশের কোথাও অঁাকা নাই। আশা করিবার অধিকারই মানুষের শক্তিকে প্রবল করিয়া তোলে। প্রকৃতির গৃহিণীপনায় শক্তির অপব্যয় ঘটিতে পারে না, এইজন্ত আশা যেখানে নাই শক্তি সেখান হইতে বিদায় গ্রহণ করে। বিজ্ঞানশাস্ত্রে বলে, চক্ষুষ্মান প্রাণীরা যখন দীর্ঘকাল গুহাবাসী হইয়া থাকে তখন তাহারা দৃষ্টশক্তি হারায়। আলোক থাকিবে না অথচ দৃষ্টি থাকিবে এই অসংগতি যেমন প্রকৃতি সহিতে পারে না, তেমনি আশা নাই অথচ শক্তি আছে ইহাও প্রকৃতির পক্ষে অলঙ্ক । এইজন্স বিপদের মুখে পলায়নের যখন উপায় নাই, পলায়নের শক্তিও তখন আড়ষ্ট হইবা পড়ে। • थिानांथ cनन । ‘थिक-दूनांsणि अंग्इब "कणिक बांकिप" थक्क जहेण ।