পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

擊 ఆ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আবার উলকি পরা যেমন-তেমন লাগিয়ে দিল ভেলকি ঠাকুরৰি, উলকির জালাতে কত কেঁদেছি 幽 ঠাকুরবি । আরও কিছু ছেড়া ছেড়া লাইন মনে পড়ে। যেমন— চন্দ্র স্বৰ্ষ হার মেনেছে, জোনাক জালে বাতি । cवांशंल *ॉठांन रुक झ्ल, ফালি পড়ে তাতি । গণেশের মা, কলাবউকে জালা দিয়ে না, তার একটি মোচা ফললে পরে কত হবে ছানাপোনা । অতি পুরোনো কালের ভুলে-যাওয়া খবরের আমেজ আসে এমন লাইনও পাওয়া যায় । যেমন— এক যে ছিল কুকুর-চাটা শেয়ালকাটার বন কেটে করলে সিংহাসন । এখনকার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে হারমোনিয়মে স্থর লাগিয়ে সা রে গা মা লাধানো, তার পরে হালকা গোছের হিন্দি গান ধরিয়ে দেওয়া । তখন আমাদের পড়াশুনোর যিনি তদারক করতেন তিনি বুঝেছিলেন, ছেলেমান্থবি ছেলেদের মনের আপন জিনিল, আর ঐ হালকা বাংলা ভাষা ছিঙ্গি ৰুলির চেয়ে মনের মধ্যে সহজে জায়গা করে নেয়। তা ছাড়া, এ ছন্দের দিশি তাল বাবা-ভৰলার বোলের তোয়াঙ্কা রাখে না। আপনা-আপনি নাড়িতে নাচতে থাকে। শিশুদের মন-ভোলানো প্রথম সাহিত্য শেখানে মায়ের মুখের ছড়া দিয়ে, শিশুদের মন-ভোলানো গান শেখানোর শুরু সেই ছড়ায়— এইটে আমাদের উপর দিয়ে পরখ করানো হয়েছিল। f তখন হারমোনিয়ম জালে নি এ দেশের গানের জাত মারতে। কাধের উপর তদূর তুলে গান জভোগ করেছি। কল-টেপা স্বরের গোলামি করি নি। আমার দোষ হচ্ছে, শেখবার থৰে কিছুতেই আমাকে বেশি দিন চালাতে পারে নি। ইচ্ছেমত কুড়িয়ে-বাড়িয়ে বা পেয়েছি বুলি ভরতি করেছি তাই দিয়েই।