পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলা , ". ఆes জিমনাস্টিকের মাস্টার এসেছেন। কাঠের ভাণ্ডার উপর ঘণ্টাখানেক ধরে শরীরটাকে উলটপালট করি । তিনি যেতে না যেতে এসে পড়েন ছবি-জাকার মাস্টার। 臀 ক্রমে দিনের মরচে পড়া আলো মিলিয়ে জালে । শহরের পাচমিশালি ঝাপসা শৰে স্বপ্নের স্বর লাগায় ইটকাঠের দৈত্যটার দেহে । o পড়বার ঘুরে জলে ওঠে তেলের বাতি । অঘোর মাস্টার এসে উপস্থিত। শুরু হয়েছে ইংরেজি পড়া। কালো কালো মলাটের রাঙ্গৰু বেন ওত পেতে রয়েছে টেবিলের উপর । মলাটটা ঢলঢ়লে, পাতাগুলো কিছু ছিড়েছে, কিছু দাগি, অজায়গায় হাত পাকিয়েছি নিজের নাম ইংরেজিতে লিখে— তার সবটাই ক্যাপিটল অক্ষর । পড়তে পড়তে ঢুলি, ঢুলতে ঢুলতে চমকে উঠি। যত পড়ি তার চেয়ে না পড়ি অনেক বেশি ••• , ன் বিছানায় ঢুকে এতক্ষণ পরে পাওয়া যায় একটুখানি পোড়ো সময়। সেখানে শুনতে শুনতে শেষ হতে পায় না— রাজপুতুর চলেছে তেপান্তর মাঠে। Ն তখনকার কালের সঙ্গে এখনকার কালের তফাত ঘটেছে এ কথা স্পষ্ট বুঝতে পারি যখন দেখতে পাই আজকাল বাড়ির ছাদে না আছে মামুষের আনাগোনা, না আছে ভূতপ্রেতের । পূর্বেই জানিয়েছি, অত্যন্ত বেশি লেখাপড়ার আবহাওয়ায় টিকতে না পেরে ব্ৰহ্মদৈত্য দিয়েছে দৌড়। ছাদের কানিলে তার জারামে পা রাখবার গুজব উঠে গিয়ে সেখানে এঠো আনের আঁঠি নিয়ে কাকেদের চলেছে ছেড়াছেড়ি । এ দিকে মাস্থষের বসতি আটক পড়েছে নীচের তলায় চারকোনা দেয়ালের প্যাকৃবাক্সে । মনে পড়ে বাড়ি-ভিতরের পাচিল-ঘেরা ছাদ । মা বলেছেন সন্ধেবেলায় মাছর পেতে, তার সন্ধিনীরা চার দিকে ঘিরে বলে গল্প করছে। সেই গল্পে খাটি খবরের দরকার ছিল না। দরকার কেবল সময়-কাটানো। তখনকার দিনের সময় ভরতি করবার জন্তে নানা দামের নানা মালমসলার বরান্ধ ছিল না। দিন ছিল না ঠাসবুন্থনি করা, ছিল বড়েী-বড়ো-ফাক-ওয়ালা জালের মতো । পুরুষদের মজলিলেই হোক, আর মেয়েদের আসরেই হোক, গল্পগুজব হালিতামাশা ছিল খুবই হালকা দামের। মায়ের সঙ্গিনীদের মধ্যে প্রধান ব্যক্তি ছিলেন ব্ৰজ আচার্জির বোন, যাকে चाक्लोर्बिनौ वर्ण अंको श्उ । फिनि श्रिनन ७ ?र्वाञक 8ननिक धवब्र गङ्गदग्नाश्