পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9S o রবীন্দ্র-রচনাবলী করবার কাজে । প্রায় আনতেন রাজ্যির বিদঘুটে খবর কুড়িয়ে কিংবা বানিয়ে। তাই নিয়ে গ্রহশাস্তি-স্বস্ত্যয়নের হিসেব হত খুব ফলাও খরচার। এই সভায় আমি মাঝে মাঝে টাটকা পুথি-পড়া বিস্তের আমদানি করেছি, শুনিয়েছি স্থৰ পৃথিবী থেকে ন কোটি মাইল দূরে ৷ খজুপাঠ দ্বিতীয় ভাগ থেকে স্বয়ং বাল্মীকি-রামায়ণের টুকরো আউড়ে দিয়েছি অমুস্বার-বিসর্গ-মৃদ্ধ ; মা জানতেন না তার ছেলের উচ্চারণ কত খাটি, তবু তার বিস্তের পাল্লা স্বর্ষের ন কোটি মাইল রাস্তা পেরিয়ে গিয়ে তাকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এ-সব শ্লোক স্বয়ং নারদমুনি ছাড়া আর কারও মুখে শোনা যেতে পারে, এ কথা কে জানত বলে । বাড়ি-ভিতরের এই ছাদটা ছিল আগাগোড়া মেয়েদের দখলে । ভাড়ারের সঙ্গে ছিল তার বোঝাপড়া। ওখানে রোদ পড়ত পুরোপুরি, জারক নেবুকে দিত জারিয়ে । ঐখানে মেয়েরা বসত পিতলের গামলা-ভরা কলাইবাটা নিয়ে । টিপে টিপে টপটপ করে বড়ি দিত চুল শুকোতে শুকোতে ; দাসীরা বাসি কাপড় কেচে মেলে দিয়ে যেত রোদুরে । তখন অনেকটা হালকা ছিল ধোবার কাজ । কাচা আম ফালি করে কেটে কেটে আমলি শুকনো হত, ছোটো বড়ো নানা সাইজের নানাকাজ-করা কালো পাথরের ছাচে আমের রস থাকে থাকে জমিয়ে তোলা হত, রোদ-খাওয়া সরষের তেলে মজে উঠত ইচড়ের আচার। কেম্বাখয়ের তৈরি হত সাবধানে, তার কথাটা আমার বেশি করে মনে রাখবার মানে আছে । যখন ইস্কুলের পণ্ডিতমশায় আমাকে জানিয়ে দিলেন আমাদের বাড়ির কেয়াখয়েরের নাম র্তার শোনা আছে, অর্থ বুঝতে শক্ত ঠেকল না। বা তার শোনা আছে সেটা তার জান চাই। তাই বাড়ির স্বনাম বজায় রাখবার জন্ত মাঝে মাঝে লুকিয়ে ছাদে উঠে দুটে-একটা কেরাখয়ের— কী বলব— চুরি করতুম বলার চেয়ে বলা ভালো অপহরণ করতুম। কেননা রাজা-মহারাজারাও দরকার হলে, এমন-কি না হলেও, অপহরণ করে থাকেন আর ধারা চুরি করে তাদের জেলে পাঠান, পূলে চড়ান। শীতের কাচা রেীত্রে ছাদে বসে গল্প করতে করতে কাক তাড়াবার আর সময় কাটাবার একটা দায় ছিল মেয়েদেয়। বাড়িতে আমি ছিলুম একমাত্র দেওর, বউদিদি’র আমসত্ত-পাহার, তা ছাড়া আরও পাচরকম খুচরো কাজের সাখি । পড়ে শোনাতুন ৰক্ষাধিপ পরাজয়’ । কখনো কখনো আমার উপরে ভায় পড়ত

  • कांक्चद्री cार्यौ, cबालिब्रिटानांथ #ांकूरब्रव्र अझै

D SDB BBDC DD DDBDDD DDD DD DDDD SDDHHHD BDSTD BBB BBBS BDDtBS BBSASDDLL HH DDS ttttS